বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) প্রেসিডেন্ট শেখ কবির হোসেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। দীর্ঘ ১৩ বছরের নেতৃত্বের পর তিনি এই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন। তার পদত্যাগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, “আমার শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় বিআইএ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমি সমিতির নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ও সদস্যের পদ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি।”
শেখ কবির হোসেনের পদত্যাগের ফলে সমিতির নিয়ম অনুযায়ী প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদ প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, গত ২১ আগস্ট থেকেই হোসেন শারীরিক অসুস্থতার কারণে কার্যকরভাবে বিআইএর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছিলেন।
বিআইএর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, একজন প্রেসিডেন্ট সর্বোচ্চ তিন মেয়াদে এই পদে থাকতে পারেন। কিন্তু শেখ কবির হোসেন ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত টানা সাত মেয়াদে প্রেসিডেন্টের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন, যা নিয়মবহির্ভূত। এ দীর্ঘ মেয়াদের নেতৃত্বকে কেন্দ্র করে বিআইএর অভ্যন্তরে ক্ষোভের সঞ্চার হয়। অনেক বিমা কোম্পানির মালিকই অভিযোগ করেছেন যে, হোসেন বিআইএ প্রেসিডেন্টের পদে জোরপূর্বক বসে আছেন, যা নিয়ম লঙ্ঘন।
দীর্ঘ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। তার নেতৃত্বে বিআইএতে যেসব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে, তা সত্ত্বেও অনেকে মনে করেন, তার পদত্যাগের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজনীয়তা এখন সময়ের দাবি। আগামী ডিসেম্বরে তার সপ্তম মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে, ২১ অক্টোবরের পদত্যাগে সেই মেয়াদের সমাপ্তি ঘটে আগেভাগেই।
শেখ কবির হোসেনের পদত্যাগের ফলে বিআইএর ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব কেমন হবে, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে বিমা খাতের অভ্যন্তরে। অনেকেই মনে করছেন, সংগঠনে নেতৃত্বের পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি ও কর্মসূচি চালু হতে পারে, যা বিমা খাতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।