‘আমাদের বিনিয়োগ দরকার। তাই বলে কোন দেশ থেকে সেটি আসছে তা উপেক্ষা করে আমরা অন্ধভাবে প্রত্যক্ষ বিদেশী বিনিয়োগ (এফডিআই) নিতে পারি না।’ সীমান্তবর্তী দেশগুলো থেকে বিনিয়োগ নেয়ার ওপর বিধিনিষেধ বজায় রাখার সিদ্ধান্তে এখনো অটল ভারত। যুক্তরাষ্ট্রে এক সমাবেশে সম্প্রতি এ তথ্য জানান দেশটির অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। (সূত্র- রয়টার্স)
বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি ইভি, সেমিকন্ডাক্টর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এআই ন্যায় গণনামূলক প্রযুক্তিতে দেশ দুটির সহযোগিতার সুযোগ থাকলেও ওই সংঘর্ষের ফলে যা স্থবির হয়ে পড়ে। ২০২০ সালে সংগঠিত গুরুতর সীমান্ত সংঘর্ষ হবার পরই চীন ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও দক্ষ জনশক্তি বিনিময়ের হার কমেছে। হিমালয় এলাকায় সীমান্ত টহল নিয়ে সম্প্রতি চীনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে ভারত। এ চুক্তির মূললক্ষ্য চার বছরের মধ্যে দেশ দুটির মধ্যে সামরিক অচলাবস্থার অবসান ঘটানো।
২০২০ সালের ঐ সংঘর্ষের পরবর্তী সময়ে প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে ভারত বিনিয়োগ নেয়ার ক্ষেত্রে কঠোরতা অবলম্বন করতেন। ঐ সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে ভারতে বিওয়াইডি ও গ্রেট ওয়াল মোটরের মতো চীনা সংস্থাগুলো হতে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলশ্রুতিতে চীনা অংশীদারযুক্ত মালিকানায় ভারতীয় কোম্পানিগুলোকেও বিভিন্ন ধরনের জটিলতায় পড়তে হয়।
অনেকের ধারণা, চীন যেন ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের ওপর কোনো অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তার করতে না পারে, এজন্যই ওই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল। তবে নয়াদিল্লি বিনিয়োগ গ্রহণে কঠোরতা আরোপের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেনি।
বর্তমান সময়েও ভারতে বৃহত্তম পণ্য সরবরাহকারী দেশও চীন। এমন সিদ্ধান্তের পরও ২০২০ সালের পর চীন থেকে ভারতে পণ্য আমদানি ৫৬ শতাংশও বৃদ্ধি হয়েছে। যার ফলে ভারতের সঙ্গে চীনের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ৮ হাজার ৫০০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে।