দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর সম্প্রতি ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি পেয়ে প্রভাব ফেলেছে দেশের বাজারে। গত এক সপ্তাহে এই বন্দরের মাধ্যমে ৩ হাজার ৫৮৭ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে, যা ভোক্তাদের জন্য স্বস্তির একটি সংকেত হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, এই পরিস্থিতি দেশের পেঁয়াজ বাজারের দামকে কমাতে সহায়ক হবে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি কারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী শুক্রবার রাতে সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার বিকেলে পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম হঠাৎ করে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমেছে। তিনি বলেন, “দেশের বাজারের স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে প্রতিদিন ভারত থেকে ২২ থেকে ২৭ ট্রাক পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে। ১৯ থেকে ২৪ অক্টোবরের মধ্যে এই বন্দর দিয়ে মোট ১২৭টি ট্রাকে ৩ হাজার ৫৮৭ টন পেঁয়াজ পৌঁছেছে। উল্লেখ্য, এসব পেঁয়াজ ২০ শতাংশ নতুন শুল্কের আওতায় আমদানি করা হচ্ছে, যদিও বাজারে পেঁয়াজের দাম তেমন হ্রাস পাচ্ছে না। এই বিষয়ে সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী সংশ্লিষ্ট সরকারের নজরদারি ও মনিটরিং বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
হিলি খুচরা বাজারের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে মানভেদে ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। একইসাথে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি দরে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আরুজুল্লাহ সরকার বলেন, “অন্য স্থানের তুলনায় আমাদের এলাকায় কিছুটা দাম কমেছে। পূর্বে যেখানে ৮ থেকে ১০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো, সেখানে বর্তমানে ২২ থেকে ২৭ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। আমি আশা করছি, কিছু দিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকার নিচে নেমে আসবে।”
এভাবে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বৃদ্ধি এবং বাজারে দাম কমার এই প্রবণতা স্থানীয় ভোক্তাদের জন্য একটি ইতিবাচক সংকেত প্রদান করে। তবে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপেরও প্রয়োজন রয়েছে, যাতে ভোক্তারা নিশ্চিত ও সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ ক্রয়ের সুযোগ পান।