দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি সংকট এবং তেলের উচ্চমূল্যের প্রভাব সামাল দিতে সরকার আজ ত্রিমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির (ইসিসি) ৬ষ্ঠ বৈঠকে জ্বালানি সংগ্রহের তিনটি প্রস্তাব নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। বৈঠকটি আজ ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিনের বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের দুটি প্রস্তাব অনুমোদিত হয়, যার আওতায় জাতীয় জ্বালানি প্রতিষ্ঠান পেট্রোবাংলা ২০২৫ সালের জন্য পরিশোধিত জ্বালানি তেল ও অপরিশোধিত তেল সরাসরি সংগ্রহের (ডিপিএম) সিদ্ধান্ত নেয়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরাসরি সংগ্রহ পদ্ধতির মাধ্যমে এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে আন্তর্জাতিক বাজারের মূল্য ওঠানামার প্রভাব সামলানো সহজ হবে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা দ্রুততম সময়ে পূরণ করা সম্ভব হবে।
এছাড়া গ্যাসের অতিরিক্ত চাহিদা মোকাবিলায় পেট্রোবাংলাকে স্পট মার্কেট থেকে ডিপিএম পদ্ধতিতে এক কার্গো এলএনজি সংগ্রহের অনুমতি দেয়া হয়েছে। এই উদ্যোগ জাতীয় গ্যাস সরবরাহ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি শিল্প এবং বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে। বর্তমান বৈশ্বিক জ্বালানি সংকটের প্রেক্ষাপটে এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
পর্যবেক্ষকদের মতে, সরকারী এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক বাজারের প্রতিকূল পরিস্থিতিতে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই পরিকল্পনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হলে দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও তা সহায়ক হবে।