দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আশার সঞ্চার হয়েছিল। তবে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই সেই আশা ক্রমেই ম্লান হতে শুরু করেছে। লাগাতার দরপতনে হতাশ হয়ে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
আজ, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স একদিনে ১৪৯ পয়েন্ট হ্রাস পেয়ে ৪ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে নেমে এসেছে। এটি প্রায় চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থান, যা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৭ অক্টোবর)
ডিএসইর প্রধান সূচক ১৪৮ দশমিক ২০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৯৬৫ পয়েন্টে এসে দাঁড়িয়েছে, যা গত ৪৬ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। এর আগে ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর সূচকটি ৪ হাজার ৯৩৪ পয়েন্টে নেমে গিয়েছিল।
এছাড়া, ডিএসইর অন্যান্য সূচকগুলোর মধ্যে ‘ডিএসইএস’ ৩৬ দশমিক ২৭ পয়েন্ট কমে ১১০৭ পয়েন্টে এবং ‘ডিএস-৩০’ সূচক ৪৮ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমে ১৮৩০ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
আজকের লেনদেনে ডিএসইতে ৩০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগের কার্যদিবসে ৩০৬ কোটি ০১ লাখ টাকার ছিল। তবে এই নিম্নমুখী ট্রেন্ডে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শঙ্কা বাড়ছে। আজ ডিএসইতে ৩৯৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে, যেখানে ২৯টি কোম্পানির দর বেড়েছে, ৩৪১ কোম্পানির দর কমেছে এবং ২৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএসইসির নতুন নেতৃত্বের অধীনে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ না হওয়া এবং চলমান দরপতনের কারণে বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। এ অবস্থায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি উঠেছে, যাতে বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারেন।
সকলের চোখ এখন সরকারের এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার দিকে, যাতে তারা দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে শেয়ারবাজারের এই অস্থিতিশীলতা কাটিয়ে উঠতে পারে। বিনিয়োগকারীরা চাইছেন, তাদের স্বপ্ন আবারো আলোর মুখ দেখবে।