সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা গেছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চতুর্থ ও শেষ প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৩.৯১ শতাংশে নেমেছে।
বিবিএসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, এই চতুর্থ প্রান্তিকের জিডিপির প্রবৃদ্ধি পূর্ববর্তী তৃতীয় প্রান্তিকের ৫.৪২ শতাংশের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম। দ্বিতীয় প্রান্তিকে এটি ছিল ৪.৭৮ শতাংশ এবং প্রথম প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.০৪ শতাংশ। অর্থাৎ, ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধির এই পতন অর্থনৈতিক কার্যক্রমের গতি সম্পর্কে কিছুটা উদ্বেগ তৈরি করছে।
বিবিএস আরও জানায়, পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে স্থিরমূল্যে চতুর্থ প্রান্তিকে কৃষিখাতের প্রবৃদ্ধি ৫.২৭ শতাংশ, শিল্প খাতের ৩.৯৮ শতাংশ এবং সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি ৩.৬৭ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জিডিপির চূড়ান্ত হিসাব আগামী ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে প্রকাশ করা হবে। এই তথ্য আমাদেরকে ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক দিকনির্দেশনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবগতির সুযোগ দেবে।
অর্থনীতির এই অবস্থান দেশের উন্নয়ন কৌশল ও নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে নতুন করে ভাবনা এবং পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরছে। বিশেষ করে উৎপাদনশীল খাতের প্রবৃদ্ধির তুলনায় সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায়, সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোগ নিতে হবে যাতে সেবার মান বৃদ্ধি পায় এবং অর্থনীতির সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা যায়।
এদিকে, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী ধারা চলতে থাকলে আগামী অর্থবছরে চ্যালেঞ্জগুলো আরও বাড়তে পারে। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে।
এভাবে দেশের অর্থনৈতিক চিত্র অগ্রগতির পথে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। তবে, সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর নীতির মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।