২০১২ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে ৯৩ টন দাহ্য পদার্থের চারটি কনটেইনার এসে পৌঁছেছিল। তবে, আমদানিকারক কর্তৃক দীর্ঘদিন ধরে এই কনটেইনারগুলো খালাস না নেওয়ার ফলে সেগুলো বন্দরের জেটিতে পড়ে ছিল। এই অবস্থা প্রায় ১৩ বছর ধরে চলতে থাকে, যা বন্দরের কার্যক্রম ও নিরাপত্তার জন্য একটি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
অবশেষে, ২৭ অক্টোবর, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস নিলামে ৪১ লাখ টাকায় মেসার্স এস এ ট্রেডিংকে এই চালানটি খালাস দেয়। কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়ে দেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানের নির্দেশনায় তারা জরুরি সভা করে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত থাকা এই কনটেইনারগুলো খালাসের প্রক্রিয়া বারবার বিভিন্ন জটিলতার কারণে পিছিয়ে পড়েছিল।
বন্দর কর্তৃপক্ষ ও কাস্টম হাউসের যৌথ সভায় ১ অক্টোবর কনটেইনারগুলো দ্রুত অপসারণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। এ ধরনের অতি দাহ্য ও বিপজ্জনক পণ্য খালাসে শিথিলতা এবং দীর্ঘসূত্রতা সামগ্রিকভাবে বন্দরের কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছিল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই চালানটির সফল খালাস হওয়ায় বন্দরের নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে এবং দীর্ঘদিনের দুশ্চিন্তা দূর হবে। বন্দরের বিভিন্ন কার্যক্রমে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং এর মাধ্যমে বন্দরের সুষ্ঠু পরিচালনার সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এ ঘটনাটি চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। বন্দরকে নিরাপদ এবং কার্যকরী রাখতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের গুরুত্ব একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে। এই পদক্ষেপ ভবিষ্যতে বন্দরের পরিবেশ এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।