কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের বাজার অস্থির। দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ায় এর প্রভাব পড়ছে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর। যদিও প্রতিদিন শত শত ট্রাক পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করছে তবুও দাম বৃদ্ধি।
গতকাল বুধবার ঢাকার কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভালো মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহ দুয়েক আগে দেশি পেঁয়াজের দাম ছিল ১৩০ টাকা। এ ছাড়া দুই সপ্তাহ আগে ভারতীয় পেঁয়াজ ছিল ৯৫ থেকে ১০০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়। তবে ভারতীয় পেঁয়াজ ছাড়াও অন্যান্য দেশের পেঁয়াজও বাজারে আসতে দেখা গেছে। এর মধ্যে খুচরা ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১০০ থেকে ১২০ টাকা, তুর্কি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা এবং চীনা পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন।
এর পেছনে যুক্তি দেখিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয় ৬০০ ডলারে। সে অনুযায়ী প্রতি কেজি দাম দাঁড়াচ্ছে ৫০ টাকা। 73. আপনি যদি এর সাথে আনুষঙ্গিক খরচ এবং লাভ যোগ করেন তবে পাইকারি পর্যায়ে এটি 75 টাকা হওয়া উচিত। এর চেয়ে বেশি লাভ হলেও পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি দাম সর্বোচ্চ ৮০ টাকা হতে পারে। কিন্তু বন্দরেই প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এই পেঁয়াজ ঢাকায় গেলে ১২০ টাকায় পাওয়া স্বাভাবিক। কড়া নজরদারির অভাবে বন্দর এলাকায় প্রতি কেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা মুনাফা খাচ্ছে ভারতীয় ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক মাসে দেশি পেঁয়াজের দাম ৩০ শতাংশ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম ৮ শতাংশ বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছর এ সময় দেশি পেঁয়াজের মজুদ ফুরিয়ে যায়। এ কারণে দাম বেড়ে যায়। দেশি পেঁয়াজের এই ঘাটতি পূরণের প্রধান ভরসা হয়ে উঠেছে আমদানি করা পেঁয়াজ। তবে আমদানিকারকদের কেউ কেউ বলছেন, পেঁয়াজ নিয়ে শত শত ট্রাক ঢুকলেও বন্দরে দাম বেশি। কারণ, বন্দর এলাকার বাজার নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তদারকি জোরদার করা হলে দাম নিয়ন্ত্রণে থাকত।
হিলি ল্যান্ডপোর্ট আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুনুর রশিদ সমকালকে বলেন, ভারতে এখন দাম বেশি। কিন্তু এখানে আমরা বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ভারতীয় পেঁয়াজে কমিশন নিয়ে ব্যবসা করি। সেক্ষেত্রে পেঁয়াজের দাম বাড়লেও একই কমিশন পাই।
তিনি বলেন, আমদানি করা পেঁয়াজের কোনো অভাব নেই। শুধু ভারত থেকেই বিভিন্ন বন্দর দিয়ে প্রতিদিন অন্তত দেড়শ ট্রাক পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের নজরদারি দুর্বল। এ জন্য বিশৃঙ্খলা চলছে।