বাংলাদেশের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সায়েদা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, পরিবেশ সুরক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মোকাবেলায় বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, “আমাদের জাতীয় পরিবেশগত লক্ষ্যগুলোকে এগিয়ে নিতে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এর মাধ্যমে আমরা জলবায়ু হুমকির বিরুদ্ধে দেশের প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করবো, জীববৈচিত্র্য রক্ষা করবো এবং জনগণের জন্য একটি টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হবো।”
বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে আয়োজিত এক বৈঠকে সায়েদা রিজওয়ানা হাসান এ কথা বলেন। এ বৈঠকে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলটি উপস্থিত ছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন বিশ্বব্যাংকের প্র্যাকটিস ম্যানেজার ক্রিশ্চিয়ান আলবার্ট পিটার। বৈঠকে বাংলাদেশে জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধি, পরিবেশগত সুরক্ষা জোরদার করা এবং টেকসই উন্নয়নের নতুন ক্ষেত্রগুলো অন্বেষণের উপায় নিয়ে আলোচনা হয়।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিত্বে ক্রিশ্চিয়ান আলবার্ট পিটার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে সব ধরনের উন্নয়ন প্রকল্পে পরিবেশগত বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সবুজ প্রবৃদ্ধি, পরিবেশ রক্ষা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তা করা।” তিনি আরও বলেন, “এটি শুধু বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী পরিবেশগত স্বাস্থ্যকেই সুরক্ষিত করবে না, বরং এর অর্থনৈতিক কল্যাণেও প্রভাব ফেলবে।”
বৈঠকের শেষ পর্যায়ে জলবায়ু অভিযোজন, টেকসই উন্নয়ন এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের জন্য প্রকল্প এবং কৌশলগত হস্তক্ষেপের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। দুই পক্ষই এই উদ্যোগের সম্ভাব্য ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং পরিবেশ সুরক্ষায় তাঁদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
এ বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্ম সচিবসহ বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ আনা লুসিয়া গোমেস লিমা, সিনিয়র পরিবেশ বিশেষজ্ঞ ইউন জু অ্যালিসন ই, এবং পরিবেশ অর্থনীতিবিদ জিহাই কউন উপস্থিত ছিলেন।
সুত্রঃদিপঙ্কর বড়ুয়া
জনসংযোগ কর্মকর্তা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়