বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি গত কয়েক বছর ধরে উল্লেখযোগ্য ভাবে অর্জন করলেও, বর্তমান সময়ে এটি নানা অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। বৈশ্বিক মহামারী, অর্থনৈতিক অস্থিরতা এবং রাজনৈতিক জটিলতার কারণে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষা করা ক্রমশঃ কঠিন হয়ে পড়েছে। এই প্রতিবেদনে বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতির সামগ্রিক চিত্র এবং চ্যালেঞ্জগুলো বিশ্লেষণ করা হয়েছে। যা দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
অর্থনীতির সাম্প্রতিক চিত্র:
বাংলাদেশের অর্থনীতি স্পষ্টতই চাপের মুখে থাকলেও এখনো বিশ্বের অন্যান্য দেশের কাছে একটি উন্নয়নের মডেল হিসেবে বিবেচিত। দেশের রপ্তানি আয়ের বড় একটি অংশ তৈরি পোশাক শিল্প থেকে আসে, যা প্রায় ৮১.৮১ শতাংশ। ২০২২ থেকে ২০২৩ অর্থবছরে পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৯৯৯ কোটি ডলার। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অস্থিতিশীলতা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মূল্যস্ফীতি, বিশ্বে নানা সংকট ইত্যাদি কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক ক্রয়াদেশ ক্রমেই কমছে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তেমনি অর্থনীতির এই সম্ভাবনাময় খাত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্যদিকে বৈদেশিক রেমিট্যান্স দেশের অর্থনীতির প্রধান স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত। কিন্তু গত জুলাই মাসের কোটা আন্দোলন এবং নানা জটিলতার কারণে রেমিট্যান্স কমে আসা ও রেমিট্যান্স না পাঠানোর দাবি উঠাসহ হুন্ডিতে টাকা প্রেরণের ফলে এ খাত সংকটে রয়েছে কিন্তু সামগ্রিকভাবে শূন্য দশকের শুরু থেকে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং দারিদ্র্যের হার কমাতে সক্ষম হয়েছে। তবে কোভিড-১৯ মহামারী এবং ইউক্রেন- রাশিয়া যুদ্ধের ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে প্রভাব পড়েছে এর ফলে বাংলাদেশে অর্থনীতি ও চাপে পড়েছে।
এছাড়া সমসাময়িক কালে বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের ফলেও অর্থনীতির কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন: নীতি পরিবর্তন, বাজেটের পরিবর্তন, বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক পরিবেশ, মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হার পরিবর্তন, সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প নীতি পরিবর্তন ইত্যাদি। যা অর্থনীতির গতি প্রকৃতি পাল্টে দিতে ভূমিকা রাখছে।
অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলো:
অর্থনীতির পাশাপাশি সাম্প্রতিক চিত্র অবলোকন করলে দেখা যায়, দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান। অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ এর মধ্যে অন্যতম হলো মুদ্রাস্ফীতি। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খাদ্য পণ্যের মূল্য বেড়েছে, বিশেষ করে চাল, তেল এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের জীবন যাত্রায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে। বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিরতার ফলে জ্বালানির মূল্যও বেড়েছে, যা মুদ্রাস্ফীতির হারকে বাড়িয়ে তুলেছে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্য হ্রাস পাচ্ছে, যা পণ্যের আমদানি খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই মূল্যবৃদ্ধি জীবনযাত্রার খরচ বাড়িয়ে তুলছে। মুদ্রাস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংক সুদের হার বাড়ানোর মতো কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক সরবরাহ চেইনে ব্যাঘাত ঘটায় পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না, যা মুদ্রাস্ফীতির হারকে আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রধানতঃ রপ্তানির উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে পোশাক খাতের উপর। তবে বৈশ্বিক বাজারের অস্থিতিশীলতা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর মুদ্রা-নীতির কারণে রপ্তানি আয়ে চাপ পড়ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো বড় বাজার গুলোর মন্দার আশঙ্কা রয়েছে, যা বাংলাদেশের রপ্তানি আয় কমিয়ে দিতে পারে। বৈশ্বিক সরবরাহ চেইন ভেঙ্গে পড়ায় রপ্তানি কমে যাচ্ছে, আর পোশাক শিল্প দেশের রপ্তানীর প্রধান খাত হওয়ায় এর প্রভাব ভালোভাবেই জনগণের উপর পড়েছে।
বৈদেশিক ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতির আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ। উন্নয়ন প্রকল্প গুলোর জন্য বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়ছে, যা অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করছে। বাংলাদেশে বৈদেশিক ঋণের ধরন গুলো হচ্ছে-দ্বিপাক্ষিক, বহুপাক্ষিক, কনসেশনাল ঋণ এবং বাণিজ্যিক ঋণ। ছাত্র – জনতা আন্দোলনের মুখে সদ্য বিদায়ী সরকার প্রায় ৭৯ বিলিয়ন ডলার ঋণ রেখে গেছে, যা মেগা প্রকল্পের ঋণ পরিশোধে ব্যয় হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশে রিজার্ভের চাপ থাকলেও বড় বড় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে । টাকার এই বড় হিসাব দেশের অর্থনীতিতে একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ।
বর্তমানে বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকার অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসব পদক্ষেপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-বাংলাদেশ ব্যাংক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদের হার বাড়িয়েছে। এক্ষেত্রে ঋণ গ্রহণে ব্যয় বেড়ে যায়, যা অর্থনীতিতে অর্থ প্রবাহ কমাতে সাহায্য করে এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপ কমায়। এছাড়া খাদ্য ও জ্বালানি মূল্য নিয়ন্ত্রণ, বিশেষ ঋণ সহায়তা, অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমানো, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ ব্যবস্থাপনা ও সরকারি খরচে বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ইত্যাদি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে এই পদক্ষেপগুলো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কতটুকু কার্যকর হবে তা নির্ভর করবে ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির উপর।
অতি সম্প্রতি, বাংলাদেশের স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বন্যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।বিশেষ করে ধান ,শাকসবজি এবং অন্যান্য মৌসুমী ফলের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । তাছাড়া গবাদি পশু , মৎস খামার, হাঁস- মুরগির খামার ইত্যাদির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জমি প্লাবিত হওয়ায় ফসল নষ্ট হয়ে গেছে এবং কৃষকরা তাদের বিনিয়োগের বড় অংশ হারিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির কারণে গ্রামীন এলাকায় অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিল্প স্থাপন এবং অন্যান্য বিনিয়োগ কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। বন্যায় সড়ক, রেলপথ এবং নৌপথ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যা পণ্য সরবরাহ এবং পরিবহনে বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে। বন্যার কারণে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িক বন্ধ হয়ে গেছে, যা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
সরকারকে বন্যা মোকাবেলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের পুনর্বাসনের জন্য বিশাল অংকের ত্রাণ ও পুনর্বাসন ব্যয় করতে হচ্ছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে অনেক শ্রমিক তাদের কাজ হারিয়েছে। বিশেষ করে কৃষি এবং ক্ষুদ্র শিল্প খাতে কাজ করা শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে, যা দেশের বেকারত্বের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং শ্রম বাজারে চাপ সৃষ্টি করছে। ইতিমধ্যে বন্যায় আর্থিক ক্ষতি ২০ হাজার কোটি টাকা গড়িয়েছে বলে নানা পত্রিকা -প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে। তাছাড়া মানুষের মৃত্যুর সংখ্যাও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব মিলিয়ে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে -তা সহজেই অনুমেয়।
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কিছু প্রস্তাবনা:
বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে অর্থনৈতিকভাবে বিভিন্ন সমাধান রয়েছে । এজন্য অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি ও অর্থনীতিবিদদের মতামত অনুযায়ী কিছু সুপারিশ গ্রহণ করা যেতে পারে-
১.কর আদায়ের হার বৃদ্ধির জন্য কর ব্যবস্থাকে আরো কার্যকর ও সুশৃঙ্খল করা প্রয়োজন। কর ফাঁকি রোধে শক্তিশালী প্রযুক্তি এবং পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রয়োজন। ঋণ পরিশোধ করতে ও রাজস্ব বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণের উপর জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআর কে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।
২.ব্যাংকিং খাতের সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। ব্যাংকের সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সর্বপ্রথম ব্যাংকের মাথা অর্থাৎ সকল ব্যাংকের ব্যাংক , কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ আরো কঠোর করা উচিত। যাতে অন্যান্য ব্যাংককেও স্বচ্ছ ও দুর্নীতি মুক্ত রাখা যায়
৩.বৈদেশিক ঋণ ও সাহায্যের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে এনে তা দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা উচিত। স্বল্প সুদের ঋণ, বিগত আমলের সরকারের মেগা প্রকল্পে যথেষ্ট ব্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অর্থায়নের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে হবে।
৪.দেশের রপ্তানির বাজার সম্প্রসারণের জন্য নতুন বাজার খুঁজে বের করে বাজারে বৈচিত্র আনা এবং বিদ্যমান বাজারে পণ্যের মান উন্নত করার পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে, তৈরি পোশাক খাতের বাইরেও দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলে রেমিটেন্সযোদ্ধা সহ বিভিন্ন খাতে উন্নয়ন করা জরুরী
৫.শিল্প খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে সরকারি উদ্যোগ এবং প্রনোদনা দিতে হবে। এছাড়াও নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ, ছোট -মাঝারি শিল্পের বিকাশে সহায়তা প্রদান করা উচিত।
৬.কৃষি খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর জন্য কৃষকদের সহজলভ্য ঋণ, উন্নত প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ এবং ভর্তুকি প্রদান করে উৎপাদন খরচ কমানো যেতে পারে।
৭.দীর্ঘমেয়াদি ফসলের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে, যা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং নীতি ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করবে।
৮.বিদেশি বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, আইন ও নীতিমালা সহজতর করা , পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা এবং অবকাঠামগত উন্নয়ন প্রয়োজন।
৯.মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি, কারিগরি শিক্ষার প্রসার এবং দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত ও পেশাগত শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে।
১০. অর্থনীতির সকল খাত ও কর্মকর্তাদের কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের প্রভাব মুক্ত রাখতে হবে। যাতে অর্থনীতির খাতগুলো কারো স্বার্থে ব্যবহৃত না হয়ে তার আপন গতিপথে কোনো প্রভাব ছাড়াই সফলতার পথে এগিয়ে যেতে পারে।
১১. দুর্নীতি ও অর্থ প্রচার অর্থনীতির অগ্রগতির পথে প্রধান বাধা। সরকারের উচিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ এবং প্রশাসনিক সংস্কার কার্যকর করা। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে দুর্নীতির সুযোগ কমাতে হবে। দুর্নীতিতে কথিত জিরো টলারেন্সের ঘোষণা মুখে না বলে বরং কাজে এর প্রমাণ দেখাতে হবে । যেন বিদায়ী সরকারের মতো দেশ আবারও দুর্নীতিতে ছেয়ে না যায় ।
এই ধরনের অর্থনৈতিক সমাধান গুলো বাস্তবায়ন করতে হলে সরকার, বেসরকারি খাত এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের সামগ্রিক অর্থনীতি বর্তমানে নানা অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকর নীতি গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এবং সাধারণ জনগণের সহযোগিতায় দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সম্ভব। অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অতীতকে হটিয়ে বর্তমানকে গুরুত্ব দিয়ে দক্ষ নেতৃত্ব এবং সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ও স্থিতিশীল অর্থনীতির ভবিষ্যৎ অর্জন করতে সক্ষম হবে- এই আপামর জনগণের প্রত্যাশা ।