Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Wed, Nov 12, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অবদান
    অর্থনীতি

    বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য : ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অবদান

    এফ. আর. ইমরানNovember 6, 2024Updated:November 7, 2024
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ হলেও এর বিভিন্ন বৈচিত্র্যতা অন্যান্য দেশের থেকে কম নয়। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈচিত্র্য হলো জাতিগত বৈচিত্র্য। বাঙালি এর মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও বাংলাদেশে বাস করে প্রায় অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী। এদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জীবনধারা মূলত: আধুনিক জনগণের প্রভাব থেকে মুক্ত। যা তাদের আদিবাসী পরিচয়কে সংরক্ষণ করে রেখেছে। আদিবাসী জনগণ তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্যগুলো বজায় রেখে সমাজে এক বিশেষ স্থান অর্জন করেছে।

    অন্যদিকে, উপজাতি শব্দটি ব্যবহার করা হয় তাদের জন্য, যারা নিজেদের রাষ্ট্র গঠনের ক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি, তবে নিজেদের মধ্যে একটি স্বতন্ত্র সংস্কৃতি নির্মাণে সফল হয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের ক্ষেত্রে এ কথাটি প্রযোজ্য। তারা তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নিজেদের পরিচয়কে ধরে রেখেছে। যা আমাদের সমাজের বৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।


    অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের গুরুত্ব: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অবদান এক কথায় অপরিসীম। দেশের মোট জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এই গোষ্ঠীর সদস্য। যাদের সংখ্যা ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ১৬ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি। এরা প্রধানত: গ্রামীণ অঞ্চলে বসবাস করে। আর তাদের ঐতিহ্য, দক্ষতা এবং পরিশ্রম দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তুলেছে। কৃষি থেকে শুরু করে কারুশিল্প, এমন নানা খাতে তাদের অসাধারণ অবদান দেশের আর্থিক কাঠামোতে বৈচিত্র্য ও স্থিতিশীলতা যোগাচ্ছে। যা দেশের জিডিপিতে তাদের অবদানকে শক্তিশালী করেছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সৃজনশীলতা ও পরিশ্রম আমাদের অর্থনীতিকে শুধু সমৃদ্ধ করছে না, বরং নতুন দিক নির্দেশনাও দিচ্ছে।

    ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর জীবনযাত্রা মূলত : কৃষির উপর ভিত্তি করে। তারা সৃজনশীলভাবে বিভিন্ন কৃষিপণ্য উৎপাদন করে এবং দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জুম চাষ, মৌসুমি ফল ও সবজি উৎপাদন করে তারা নিজেরা স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। এই সব চাষাবাদ সাধারণত টেকসই, যা পরিবেশের জন্যও উপকারী। দেশে খাদ্য সংকট মোকাবেলায় এই নৃ-গোষ্ঠীর অবদান গুরুত্বপূর্ণ। তারা সাধারণত: কৃষির নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে, যা উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং কৃষিতে বৈচিত্র্য আনে।

    এছাড়া , ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যরা ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্পে বিশেষজ্ঞ। তাঁত, বাঁশ, বেত এবং মৃৎশিল্পের মতো বিভিন্ন শিল্পে তাদের দক্ষতা দেশের আর্থিক বাজারে ব্যাপকভাবে পরিচিত। এই শিল্পগুলো দেশের রপ্তানিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তারা নিজেদের হাতে তৈরি পণ্য বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। যা দেশের অর্থনীতিতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এমনকি কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী তাদের নিজস্ব পন্যের জন্য ব্র্যান্ড তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। যা তাদের নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের জন্য নতুন বাজার সৃষ্টি করেছে।

    ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা বোধহয় বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের বৃদ্ধিতেই সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিদেশি পর্যটকদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ। পাহাড়ি অঞ্চলসহ বিভিন্ন স্থানে তাদের জীবনযাত্রা, উৎসব এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পর্যটকদের আকৃষ্ট করেছে। এটি দেশের পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করেছে এবং অর্থনৈতিক প্রবাহ সৃষ্টি করেছে। উদাহরণ স্বরূপ- সাঁওতাল, গারো ও অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীর উৎসবগুলো দেশের ভ্রমণ পিপাসুদের একটি বিশেষ অভিজ্ঞতা। এসব সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে কেন্দ্র করে পর্যটন বিকাশ হলে স্থানীয় জনগণেরও উন্নয়ন ঘটে, যা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটায়।

    বর্তমানে এটিক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের মধ্যে শিক্ষার হার বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী সংস্থা তাদের জন্য উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করছে। এর ফলে তারা নতুন নতুন ক্ষেত্রেও দক্ষতা অর্জন করছে। প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে তারা প্রযুক্তিগত দক্ষতা এবং উন্নত কৃষি পদ্ধতি শিখছে। এতে তারা শুধু নিজেদের উন্নয়ন করছে না, বরং দেশের উন্নয়নেও অবদান রাখছে। তাঁদের শিক্ষার মাধ্যমে একটি নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠেছে। যারা দেশের অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করছে।

    অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে তাদের প্রতিবন্ধকতা: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের অবদান অনেক। তবে এক্ষেত্রে তাদের বাধার পরিমাণও কম নয়। ২০১৬ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, তাদের প্রায় ৬৫ শতাংশ জনগণ দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। মূলত: জমি অধিকার ও সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়া তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম বড় বাধা। অধিকাংশ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী কৃষি ও হস্তশিল্পের ওপর নির্ভরশীল হলেও তারা প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা বা অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা থেকে প্রায় বঞ্চিত। আবার শিক্ষা ও আধুনিক দক্ষতার অভাব তাদেরকে মূলধারার চাকরি বা শিল্পে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে। সরকারি ও বেসরকারি কর্মসংস্থানে তাদের অংশগ্রহণ খুবই সীমিত, যা মাত্র ৫ শতাংশে স্থির। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকার না থাকায় তারা ঋণ বা বিনিয়োগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবও তাদের জীবিকা ও অর্থনীতিতে বড় বাধা তৈরি করেছে। সার্বিকভাবে, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীরা অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে, যদি তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও সুযোগ প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে সরকার এবং এনজিও গুলোর তাদের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।


    ভবিষ্যৎ সম্ভাবনায় আশার আলো: বর্তমানে প্রযুক্তির উন্নতি এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করছে। তারা বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে প্রযুক্তির ব্যবহার শেখার সুযোগ পাচ্ছে। উদাহরণ স্বরূপ, কিছু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ডিজিটাল মার্কেটিং, অনলাইন ব্যবসা ও কৃষির আধুনিক পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। যা তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি ঘটাচ্ছে। সরকার এবং এনজিওগুলোর সহায়তায় তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন হচ্ছে। যদি এই প্রচেষ্টাগুলো অব্যাহত থাকে, তাহলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ভবিষ্যতে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে পারবে। ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীরা বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাদের শ্রম, দক্ষতা ও সংস্কৃতি দেশের জন্য অপরিহার্য। তাঁদের কার্যক্রম দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। এতে করে মূল ধারার বাঙালি জনগণের সাথে তারাও তাদের নিজের দেশের উন্নয়নে শামিল হতে ও অবদান রাখতে পারছে। সরকারের উচিত তাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তাদের উন্নয়নে বিনিয়োগ করা এবং উন্নয়নমূলক উদ্যোগে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা। তাদের সক্ষমতার বিকাশে সঠিক নীতি ও সমর্থন নিশ্চিত করা হলে, দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আরও দ্রুত হবে। সবার জন্য সমতার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশে একটি উন্নত ও সুশাসিত সমাজ গড়তে হলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অবদানকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে হবে।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    এলডিসি থেকে উত্তরণের ৭ বছরের রোডম্যাপ চায় জাতিসংঘ

    November 12, 2025
    অর্থনীতি

    তিতাসে নতুন কম্প্রেসর, গ্যাস সরবরাহ বেড়ে ২২ মিলিয়ন ঘনফুট

    November 12, 2025
    অর্থনীতি

    নতুন বেতন কাঠামোর রূপরেখা দেবে অন্তর্বর্তী সরকার: অর্থ উপদেষ্টা

    November 12, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.