Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Sat, Jul 19, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • মতামত
    • সাহিত্য
    • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » তারল্য সংকট মোকাবিলায় বিকল্প পথের সন্ধান
    অর্থনীতি

    তারল্য সংকট মোকাবিলায় বিকল্প পথের সন্ধান

    ইভান মাহমুদNovember 11, 2024
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    ব্যাংকগুলোর তারল্য সহায়তা দিয়ে সবল করতে বিকল্প পথের সন্ধান করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর নিজস্ব উদ্যোগে আমানত সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। এ লক্ষ্যে কয়েকটি ব্যাংক চড়া সুদে আমানত গ্রহণ করছে। কয়েকটি ব্যাংক প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স সংগ্রহ করে আমানত বাড়ানো, ব্যাংকগুলো করপোরেট গ্রাহক ও উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে বাড়তি আমানত সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, কোনো ব্যাংক বন্ধ করা হবে না। সংস্কার করে ব্যাংকগুলোকে শক্তিশালী করা হবে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে যেমন নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তেমনই ব্যাংকগুলোকেও পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সার্বিকভাবে ব্যাংকগুলোয় পর্যাপ্ত তারল্য রয়েছে। কয়েকটি ব্যাংক সংকটে আছে। এগুলোকে সহায়তা দিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া হবে।

    বিগত সরকার পতনের আগে বেসরকারি ব্যাংকগুলোকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিশেষ সহায়তা দেওয়া হতো। যা দিয়ে ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করত। ৫ আগস্ট সরকার পতন হলে নতুন গভর্নর দায়িত্ব নিয়ে সংকটে পড়া ব্যাংকগুলোকে টাকা ছাড়িয়ে বা বিশেষ ছাড়ে সুবিধা দেওয়া বন্ধ করে দেন। এতে ব্যাংকগুলোয় সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। আমানতকারীদের টাকা ফেরত দিতে পারছিল না। এ অবস্থায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিতে ৫ ব্যাংককে ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা ধার দেওয়া হয়েছে। এতে সুদের হার ১১ থেকে ১২ শতাংশ। ব্যাংকগুলো নিজস্ব উদ্যোগে অন্য ব্যাংক থেকে ধার নিতে গেলে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দাবি করছে। এত সুদ দিয়ে আমানত নিয়ে ব্যাংক চালানো কঠিন বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা। এ কারণে অন্য ব্যাংক থেকে ধার নিতে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে দুর্বল ব্যাংকগুলো। এ অবস্থায় ব্যাংকগুলো তারল্যের জোগান বাড়াতে বিকল্প পথের সন্ধান করছে।

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গ্যারান্টিকে যেসব অর্থ দেওয়ার কথা, সেগুলো এখনো সব ব্যাংক পায়নি। বাকি টাকা দ্রুত ছাড় করার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও ধারদাতা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে।

    তারল্য সংকটের স্থায়ী সমাধানের জন্য আমানত সংগ্রহ করার ওপর জোর দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ব্যাংকগুলোকে। এর আলোকে ইতোমধ্যে চড়া সুদ দিয়ে আমানত সংগ্রহ করতে শুরু করেছে। চালু করেছে আকর্ষণীয় মুনাফার সঞ্চয় প্রকল্প। আল-আরাফাহ্ ব্যাংক ডাবল বেনিফিট ডিপোজিট স্কিম চালু করেছে। এতে সাড়ে ৫ বছরে জমা টাকা দ্বিগুণ হচ্ছে। মুনাফার হার ১৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ। শরিয়াভিত্তিক সঞ্চয়ী প্রকল্পে লাখ টাকা জমায় প্রতিমাসে মুনাফা দিচ্ছে এক হাজার টাকা। ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট হিসাবে মুনাফা দিচ্ছে ৭ দশমিক ৪৪ শতাংশ। এক্সিম ব্যাংক ৫ বছর ৪ মাসে দ্বিগুণ মুনাফা দিচ্ছে। লাখ টাকা আমানতে প্রতি মাসে এক হাজার টাকা মুনাফা দিচ্ছে। এনআরবি ব্যাংক আমানতের ওপর সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ৪৬, মেঘনা ব্যাংক সাড়ে ১১, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক সাড়ে ১১, এনআরবিসি ব্যাংক ১০ এবং গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক সাড়ে ১১ শতাংশ মুনাফা দিচ্ছে। বেসিক ব্যাংক ১০ দশমিক ৬৭ এবং ইসলামী ব্যাংক সাড়ে ১০ শতাংশ মুনাফা দিচ্ছে। এভাবে প্রায় সব দুর্বল ব্যাংক বাড়তি মুনাফা দিয়ে আমানত সংগ্রহ করছে। প্রত্যেক কর্মকর্তাকে আমানত সংগ্রহ করতে বলা হচ্ছে। ব্যাংকাররা আমানত সংগ্রহে করপোরেট কোম্পানি ও গ্রাহকদের কাছেও যাচ্ছেন।

    সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলোর জরুরি ধারের অন্যতম একটি ক্ষেত্র জচ্ছে কলমানি মার্কেট। এখানে সর্বোচ্চ সুদের হার বেড়ে ১১ শতাংশে উঠেছে। স্বল্পমেয়াদি ধারের সুদহার বেড়ে ১৩ শতাংশে উঠেছে। এছাড়া কলমানি মার্কেট থেকে দুর্বল ব্যাংকগুলো কোনো ধারই পাচ্ছে না। ব্যাংকগুলোর আহ্বান-কলমানি মার্কেট থেকে যেন সবল ব্যাংকগুলো ধার দেয়, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ করা জরুরি। কিন্তু এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক হস্তক্ষেপ করতে রাজি নয়। কারণ, এটি করলে বাজারের স্বাভাবিক প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হবে।

    সব ব্যাংকই প্রবাসীদের কাছ থেকে রেমিট্যান্স সংগ্রহের চেষ্টা করছে। এতে ব্যাংকে তারল্য প্রবাহ বাড়ানো সম্ভব হবে। যে কারণে ব্যাংকগুলো প্রবাসীদের কিছু বাড়তি সুবিধাও দিচ্ছে। এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহও রেকর্ড পরিমাণ বেড়েছে।

    ফরেন কারেন্সি অ্যাকাউন্টে বাড়তি সুদ দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আমানত নেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলো আকর্ষণীয় সঞ্চয়ী প্রকল্প চালু করেছে। ফলে এসব হিসাবে বৈদেশিক মুদ্রা জমা হচ্ছে। এতে একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার প্রবাহ বাড়ছে, অন্যদিকে ব্যাংকগুলোয় তারল্যের জোগান বাড়ছে।

    ন্যাশনাল ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, আল্-আরাফাহ ব্যাংক ঋণ আদায়ে জোর দিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা ইতোমধ্যে বেশকিছু সাফল্য পেয়েছে। ন্যাশনাল ব্যাংক যুক্তরাজ্যের আর্থিক প্রতিষ্ঠান জেপি মরগ্যান থেকে ২০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। ১০ বছর মেয়াদে ৫ শতাংশে সুদে এ ঋণ নিতে ব্যাংকটি জেপি মরগ্যানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    অর্থনীতি

    যুক্তরাষ্ট্র থেকে বোয়িং ও গম আমদানির উদ্যোগ

    July 19, 2025
    অর্থনীতি

    তুলা ও তৈরি পোশাক কাঁচামালে কর প্রত্যাহার

    July 19, 2025
    অর্থনীতি

    ট্রাম্পের শুল্ক হুমকিতে কমেছে জাপানের রফতানি

    July 19, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025

    দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা কি কেটে উঠা সম্ভব?

    অর্থনীতি May 29, 2025

    বাজেটের স্বাধীনতা: বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অন্যতম নিয়ামক

    আইন আদালত June 1, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2024 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.