আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ভৈরব বন্দর এলাকা পরিদর্শনে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে আলাপের সময় অন্তর্বর্তী-সরকারের নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ভৈরব বন্দর অনেক পুরোনো। এই বন্দরের উন্নয়ন জরুরি। ভৈরবকে কীভাবে আন্তর্জাতিক নৌবন্দরে পরিণত করা যায়, এ জন্য কাজ করা হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের অনেক প্রকল্প রয়েছে, যার মধ্যে ভৈরবও একটি।
৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভৈরব বন্দরে লঞ্চ, স্পিডবোট ও মালামাল ওঠানামার জন্য ৩টি পন্টুন নির্মাণ করা হবে। ১০ দিনের মধ্যে কাজ শুরু হবে। আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে। এরই মধ্যে ভৈরব বন্দর উন্নয়নে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে চলেছে। এর ব্যতিক্রম হলে বরাদ্দ ফেরত যাবে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে বেল্টের মাধ্যমে মালামাল ওঠানামা করবে। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ভৈরবসহ এই অঞ্চলের চেহারা পাল্টে যাবে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কর্মসংস্থানের পরিধি আরও বড় হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজনে বন্দর এলাকার কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সরিয়ে নিতে হবে জানিয়ে সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৈধ জায়গার মালিকেরা সরকার থেকে ক্ষতিপূরণ পাবেন। ব্যবসায়ীদের ক্ষতি পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। প্রকল্পের কাজ চলাকালে সাময়িক অসুবিধা হবে এবং সেই অসুবিধা ভৈরববাসীকে মেনে নিতে অনুরোধ করেন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।