বর্তমানে প্রতি আউন্স সোনার দাম নেমে এসেছে ২ হাজার ৫০০ ডলারের ঘরে। কিন্তু হু হু করে বৃদ্ধি পাওয়া সোনার দামে হঠাৎ এই দর পতন কেন?
মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ও ডলারের বিনিময় হারসহ নানা প্রভাবে কমছে দাম। যার প্রভাবে প্রতি আউন্স সোনার দাম পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় ২ হাজার ৮০০ ডলারে।
এবিষয়ে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) জানায়, ট্রাম্পের জয়ের পর থেকেই ঊর্ধ্বমুখী ডলারের বাজার। পাশাপাশি যুদ্ধ পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার শঙ্কা কাটতে শুরু করেছে। যার প্রভাবে কমছে দাম।
ট্রাম্প নির্বাচনে জয়ের পর হতে ডলারের মান শক্তিশালী হতে শুরু করেছে। ডলারের মান মূলত বৃদ্ধি পাচ্ছে বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধির ফলে। ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর এ ডিজিটাল মুদ্রা-বান্ধব নীতি নেবেন- এমন প্রত্যাশা থেকেই বৃদ্ধি পায় বিটকয়েনের দাম। মূলত নির্বাচনী প্রচারণায় ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রিপ্টোকারেন্সির পক্ষে জোরালো অবস্থান নেয়ায় এর দাম ঊর্ধ্বমুখী। মাসুদুর রহমান জানায়, এরই প্রভাবে স্বর্ণ ছেড়ে বিনিয়োগকারী অন্যখাতে বিনিয়োগে ঝুঁকছেন।
রয়টার্স প্রতিবেদন অনুসারে, ডলারের মান শক্তিশালী হতে থাকায় কমতে শুরু করেছে সোনার দাম। স্পট মার্কেটে সোনার দাম আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১৩ শতাংশ কমেছে। প্রতি আউন্সের মূল্য নেমেছে ২ হাজার ৫৬১ ডলারে, যা ২০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন।
দেশের বাজারে ৪৯ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ২৮ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।