আমদানি পণ্যের কনটেইনার পর্যাপ্ত হলে করাচি-চট্টগ্রাম রুটে ভবিষ্যতে নিয়মিত জাহাজ পরিচালনা করতে মালিকরা আগ্রহী। ইতিপূর্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রপ্তানি হতো।
চট্টগ্রাম বন্দরে গত তিন মাসে (আগস্ট থেকে অক্টোবর) কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে আট লাখ ৩০ হাজার ৫৮২টি। গত বছর একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬টি কনটেইনার হ্যান্ডলিং বেশি হয়েছে। গত বছরের চেয়ে ১০.২২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এছাড়া ২০২৪-২৫ অর্থবছরের গত ৪ মাসে এক হাজার ৬৪৩.৮৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। যা গত অর্থবছরের একই সময়ে রাজস্ব আয়ের তুলনায় ২১.৮৫ শতাংশ বেশি। একই সঙ্গে রাজস্ব উদ্ধৃত ২৮.০১ শতাংশ বেশি বলে জানান- এসএম মনিরুজ্জামান।
গত ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম বন্দরে ৪৫.৫ হাজার কনটেইনার উপস্থিতি ছিল। এ সময় বন্দরে ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকাজুড়ে কনটেইনার ছিল। তবে তিন মাসে পদ্ধতিগত উদ্ভাবনের মাধ্যমে তা ৩৪ হাজারে নামিয়ে আনা হয়। আগে জাহাজের অপেক্ষমাণ সময় ছিল ৬ থেকে ৮ দিন। বর্তমানে অপেক্ষমাণ সময় একদিনে নামিয়ে আনা হয়েছে বলে জানান- রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মনিরুজ্জামান।
বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, করাচি বন্দর থেকে লাইনার সার্ভিসের মাধ্যমে প্রথমবার গত ১১ নভেম্বর এইচআর শিপিং লাইনের অধীনে একটি জাহাজে ৩২৮ কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম আসে। ১২ নভেম্বর কনটেইনার খালাস করে চট্টগ্রাম ত্যাগ করে। জাহাজটি মূলত দুবাইয়ের জেবল আলী বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করে করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রাম আসে। জাহাজটির সাধারণ রাউন্টিং হচ্ছে দুবাই জেবল আলী, করাচি, চট্টগ্রাম, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মুন্দা ভারত ও দুবাই।
তিনি আরও বলেন, গত তিন মাসে চট্টগ্রাম বন্দরে ৮ লাখ ৩০ হাজার ৫৮২ টিইইউ’স কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। যা বিগত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭৬ হাজার ৯৮৬ টিইইউ’স বেশি, প্রবৃদ্ধি ১০.২২ শতাংশ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. হাবিবুর রহমান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম ফজলার রহমান, সদস্য (অর্থ) মোহাম্মদ শহীদুল আলম, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর কাওছার রশিদ প্রমুখ।