নিত্যপণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার মাঠ পর্যায়ে তদারকির পাশাপাশি পণ্য আমদানির মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে আলু বিক্রির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।
তিনি বলেন, “সরবরাহ ব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে নিত্যপণ্যের দাম কমছে না। এই সংকট মোকাবিলায় সরবরাহ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিছু পণ্যের শুল্ক কমানোর ফলে ইতোমধ্যে দামের ক্ষেত্রে সামান্য পরিবর্তন এসেছে। তদারকি কার্যক্রম আরও জোরদার করতে ভোক্তা অধিকার সংস্থাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
সরকার জনগণের কষ্ট লাঘব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে শেখ বশিরউদ্দিন আরও জানান- চাল আমদানির কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং বাজারে ডিমের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে ২০ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা রমজানের সময়েও অব্যাহত থাকবে।
বাণিজ্যে উদারনীতি ও ভোক্তাস্বস্তির অঙ্গীকার-
আমদানি নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন- “আমদানির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীলতা থাকবে না। ভারত, পাকিস্তান বা চীন-যেকোনো দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেন চলমান থাকবে। বাংলাদেশ বাণিজ্যের উদারনীতিতে অবিচল থাকবে।”
ঢাকা মহানগরীতে টিসিবির মাধ্যমে ৫০টি স্থানে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে করে আলু বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রমের আওতায় জনপ্রতি ৪০ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কেনার সুযোগ রয়েছে। শেখ বশিরউদ্দিন জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে এবং প্রয়োজনে এর পরিধি আরও বাড়ানো হবে।
সরকারের এই উদ্যোগগুলো বাজারে স্থিতিশীলতা আনার পাশাপাশি ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে কতটা কার্যকর হবে, তা সময়ই বলে দেবে। তবে বাজার তদারকি ও সরবরাহ ব্যবস্থায় শক্তিশালী উদ্যোগ জনগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।