সোমবার (৩০ জুন) শেষ হচ্ছে দেশের ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে সংশোধন অযোগ্য ব্যাক অফিস সফটওয়্যার বাস্তবায়নের নির্ধারিত সময়সীমা। তবে এখনও অনেক প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যারটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে পারেনি। ঈদ ও অন্যান্য সরকারি ছুটির কারণে এ কার্যক্রম পিছিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রেক্ষাপটে, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) সময়সীমা আরও দুই মাস বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে। অর্থাৎ আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময় চাওয়া হয়েছে। এই অনুরোধ জানিয়ে রোববার (২৯ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার (সিআরও) কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ডিবিএ সভাপতি সাইফুল ইসলাম।
ডিবিএ জানিয়েছে, সফটওয়্যার বিক্রির জন্য নিয়োজিত প্যানেলভুক্ত ভেন্ডরদের মধ্যে অনেকেই সীমিত সক্ষমতার কারণে সব ব্রোকারেজ হাউসকে একসঙ্গে সেবা দিতে পারছেন না। তার ওপর, সাম্প্রতিক ঈদ ও ছুটির কারণে বাস্তবায়নের গতি আরও শ্লথ হয়েছে।
ডিবিএর ভাষ্য অনুযায়ী, দেশের বেশিরভাগ ব্রোকারেজ হাউস ইতোমধ্যে তাদের ভেন্ডরের সঙ্গে সফটওয়্যার বাস্তবায়নের চুক্তি করেছে। কিন্তু বাস্তবায়নে এখনও কিছুটা সময় প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য তারা অনুরোধ জানিয়েছে।
ডিবিএ’র সচিব দিদারুল গনী বলেন, “ব্রোকারেজ হাউসগুলো কাজ শুরু করলেও বাস্তবায়ন পুরোপুরি হয়নি। তাই সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সময় বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয়েছে।”
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল বিএসইসির ৯৫৪তম কমিশন সভায় এই সফটওয়্যার বাস্তবায়নের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয় ৩০ জুন পর্যন্ত।
এই সফটওয়্যার চালু হলে কী লাভ হবে?
বিএসইসি মনে করে, এই সফটওয়্যার বাস্তবায়ন হলে পুঁজিবাজারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। একইসঙ্গে সিডিবিএল ও ব্রোকারদের কাছে থাকা শেয়ার সংক্রান্ত তথ্যের গরমিল কমবে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।