দেশের সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষের টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নতুন করে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। ২০২৫ সাল থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সময়ের জন্য এই পরিকল্পনা পিকেএসএফের পরিচালনা পর্ষদের রোববারের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হয়েছে।
নতুন এই পরিকল্পনার আওতায় আগামি ২০২৫-২৬ অর্থবছরে সহযোগী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৩৪০ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ দেওয়া হবে আগামী বছর।
পিকেএসএফ-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই বাড়তি অর্থায়নের ফলে সহযোগী সংস্থাগুলো তৃণমূলে আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে কার্যকরভাবে পিকেএসএফের নানা সেবা ও কার্যক্রমের আওতায় আনতে পারবে।
পিকেএসএফের এই কৌশলগত পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হচ্ছে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির ধারা আরও বেগবান করা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে তাদের আত্মনির্ভরশীল করে তোলা।
২০২৫-২০৩০ সময়কালের এই পরিকল্পনায় শুধু ঋণ বিতরণ নয়, বরং শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জলবায়ু সহনশীলতা, প্রযুক্তিনির্ভর উদ্যোগ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করার কথা রয়েছে, যাতে করে প্রকৃত অর্থেই টেকসই উন্নয়ন ও সামাজিক ন্যায়ের ভিত্তি গড়ে ওঠে।
অর্থনীতিবিদ ও উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পিকেএসএফের এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নেওয়া যায়, তবে এটি দেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতে একটি বড় ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।