দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আসাদুর রহমান। এর আগে তিনি ডিএসই’র প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) ছিলেন। সোমবার (৩০ জুন) ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ডিএসই বোর্ড সূত্র জানায়, সিওও পদে পদোন্নতির পরই তাকে ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বিষয়টি নিজেও নিশ্চিত করেছেন আসাদুর রহমান। তিনি বলেন, “ডিএসই বোর্ডকে ধন্যবাদ জানাই আমাকে এই দায়িত্ব দেওয়ার জন্য। আমি যথাযথভাবে ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে চেষ্টা করব।”
ডিএসই বোর্ডের একাধিক সদস্য জানিয়েছেন, চলমান নেতৃত্ব সংকট কাটিয়ে সাময়িক স্থিতিশীলতা আনতেই আসাদুর রহমানকে এ পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এর আগে, সাত্তিক আহমেদ শাহ ডিএসই’র সিওও হিসেবে অস্থায়ী ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্বে ছিলেন। তবে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হয় ২৯ জুন। ফলে পদটি পুনরায় শূন্য হয়। এরপর সার্বিক দিক বিবেচনায় আসাদুর রহমানকে দায়িত্ব দেয় ডিএসই বোর্ড।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের মে মাস থেকে ডিএসই’র পূর্ণকালীন এমডি পদটি শূন্য রয়েছে। তখনকার এমডি এ টি এম তারিকুজ্জামান পদত্যাগ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার পদে যোগ দেন। এরপর থেকে শীর্ষ পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে দায়িত্ব পালন করছেন কর্মকর্তারা।
নেতৃত্ব সংকট নিরসনে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ডিএসই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পদ—ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা—পূরণের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। তবে এখনো এসব পদে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
ডিএসই সূত্রে আরও জানা গেছে, ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর থেকে এ পর্যন্ত কেবল কেএএম মাজেদুর রহমানই তিন বছরের পূর্ণ মেয়াদে এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পেরেছিলেন। তার পরের সব এমডিই মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই পদত্যাগ বা পরিবর্তনের মুখে পড়েন। ফলে ডিএসই’র নেতৃত্বে স্থায়িত্ব বিঘ্নিত হয়েছে বারবার