ঢাকার জার্মান দূতাবাস এবং স্থানীয় ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) যৌথভাবে ‘ইবিএল জলবায়ু পরিবর্তন কার্যক্রম অ্যাওয়ার্ড’ চালুর ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিবছর এই পুরস্কার দেওয়া হবে, যার উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় স্থানীয় করপোরেশন, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং জলবায়ু বিষয়ক কর্মীদের নেতৃত্বগুণ এবং তাঁদের সফল প্রকল্প ও উদ্যোগের স্বীকৃতি প্রদান করা।
গতকাল মঙ্গলবার জার্মান দূতাবাসের অফিসে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার এবং ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলী রেজা ইফতেখার নিজ নিজ পক্ষ থেকে ‘জয়েন্ট ডিক্লারেশন অব ইন্টেন্ট’ স্বাক্ষর করেন।
রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার অনুষ্ঠানে বলেন, “জলবায়ু পরিবর্তন, প্রশমন ও অভিযোজন তখনই কার্যকরী হবে যখন সরকার, বেসরকারি খাত এবং সুশীল সমাজ একযোগে কাজ করবে। আমাদের প্রয়োজন সঠিক নেতৃত্ব, উদ্ভাবন এবং সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের একে অপরের কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ। এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় যে প্রচেষ্টা চলছে, তা আমরা আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই।”
এদিকে, ইবিএলের এমডি আলী রেজা ইফতেখার বলেন, “জার্মানি এবং ইবিএল জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহযোগিতার জন্য একটি অভিন্ন লক্ষ্য শেয়ার করে। এই অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নেওয়া উদ্যোগ আমাদের জন্য আনন্দের একটি বিষয়। আশা করি, ভবিষ্যতেও আমরা জলবায়ু ইস্যু নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারব। এই অ্যাওয়ার্ডের মাধ্যমে আমরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে আরও অনেক অ্যাকটিভিস্টকে অনুপ্রাণিত করতে চাই।”
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জভিত্তিক ক্ষেত্র ও বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হবে পুরস্কারটির ক্যাটাগরিতে। বিজয়ীদের নির্বাচন করতে একটি বিচারক প্যানেল গঠন করা হবে, যার মধ্যে থাকবে একাডেমিয়া, সুশীল সমাজ এবং জার্মান দূতাবাসের বিশেষজ্ঞরা।
ইবিএল জানায়, শীঘ্রই জলবায়ু পরিবর্তন কার্যক্রম অ্যাওয়ার্ড ২০২৪-এর মনোনয়ন প্রক্রিয়া ঘোষণা করা হবে, যা সংবাদপত্র, ইবিএলের ওয়েবসাইট এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হবে।
এ উদ্যোগটি বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হতে চলেছে। এটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের মধ্যে সহযোগিতার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে কাজ করবে, যা জলবায়ু কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বাংলাদেশের জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবে।

