আজ কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় অনুষ্ঠিত সাফ নারী ফুটবলের প্রথম সেমিফাইনালে প্রতিপক্ষ ভুটানকে ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল দল। মাঠে নামার আগেই বাংলাদেশের মেয়েরা ছিল আত্মবিশ্বাসী এবং ম্যাচের শুরু থেকেই তারা আক্রমণাত্মক খেলা প্রদর্শন করে।
ম্যাচের সপ্তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন ফরোয়ার্ড ঋতুপর্ণা চাকমা। চোটের কারণে একাদশে সুযোগ পাওয়া সাগরিকার পাস থেকে পাওয়া বলটি বাঁ পায়ের দারুণ শটে জালে প্রবেশ করান তিনি। এরপর ১১ মিনিটে আরেকটি গোলের সুযোগ তৈরি হলেও ভুটানের ডিফেন্ডাররা সেটি ঠেকিয়ে দিতে সক্ষম হয়।
১৪ মিনিটে বাংলাদেশ দ্বিতীয় গোলটি করে তহুরা খাতুনের মাধ্যমে। বক্সের সামনে থেকে শিউলি আজিমের পাসে বাঁ পায়ের শক্তিশালী শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন তিনি। এরপর ২৫ মিনিটে সাবিনা খাতুন একটি গোল পোস্টে লেগে যায়। তবে পরের মিনিটেই গোলটি করেন তিনি, যা ছিল তার টুর্নামেন্টের প্রথম গোল।
প্রথমার্ধে তহুরা আবারও জ্বলে ওঠেন এবং ৩৪ মিনিটে একটি অসাধারণ বাঁকানো শটে ৪-০ করেন। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে সাবিনা আবারও গোল পান, যেখানে তিনি ভুটানের গোলকিপারকে কাটিয়ে ফাঁকা পোস্টে বল পাঠান। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ৫-১ ব্যবধানে, যেখানে ভুটান মাত্র একটি গোল শোধ করতে সক্ষম হয়।
দ্বিতীয়ার্ধে তহুরা খাতুন তার হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন, এটি দলের ষষ্ঠ গোল হয়ে ওঠে। ৭২ মিনিটে শিউলি আজিমের হেডে ৭-১ হয়ে যায় বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর কোচ একসঙ্গে তিনটি বদল করেন।
এদিকে, ভুটান দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেও তাদের প্রত্যাশা মেটেনি। ৪০ মিনিটে দেকি হাজমের মাধ্যমে তারা একটি গোল শোধ করে। তবে, ভুটানের রক্ষণব্যবস্থাও ভেঙে যায় বাংলাদেশি আক্রমণের সামনে।
অতীতের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ ফাইনালে খেলতে প্রস্তুত, যেখানে তারা আগামী ৩০ অক্টোবর নেপাল-ভারত ম্যাচের জয়ীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২০১৬ সালে প্রথমবার ফাইনালে উঠলেও ভারত বিরুদ্ধে হারতে হয়েছিল। তবে ২০২২ সালে তারা নেপালকে হারিয়ে শিরোপা নিজেদের ঘরে নিয়ে এসেছে। এবার দেশবাসীর আশা, বাংলাদেশের মেয়েরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে আবারও শিরোপা ধরে রাখবে।