ব্যাটিং ব্যর্থতার কারনে স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। শামীম হোসেনের শেষের ঝড়ে আসে মাত্র ১২৯ রানের পুঁজি। এই সংগ্রহ নিয়েই বল হাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কাঁপিয়ে দেয় বাংলাদেশ। তাসকিন, শেখ মেহেদি, রিশাদ, সাকিবদের বোলিংয়ের সামনে এই অল্প রান তাড়াতে মুখ থুবড়ে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকদের তাদের মাঠেই গুড়িয়ে দিয়ে স্বস্তির জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৭ রানে হারিয়ে সিরিজ জয় বাংলাদেশের। এ জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আগামী শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) সিরিজের শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
১৩০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় ২৮ রানেই তিন উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। উইকেট উল্লাসের শুরুটা করেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে টানা দুটি উইকেট নেন তাসকিন। ডানহাতি পেসারের বলে খোঁচা মেরে লিটন দাসের গ্লাভসে ধরা পড়েন ব্র্যান্ডন কিং। ৫ বলে তিনি করেন ৮ রান। একই ওভারের পঞ্চম বলে ধরা আরেক ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ যায় উইকেটের পেছনে। সেই ক্যাচও নেন লিটন।
মেহেদির পরের শিকার নিকোলাস পুরান। বিপজ্জনক পুরানকে স্লিপে সৌম্যের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ৫ রানে সাজঘরে পাঠান মেহেদি। এরপর বোলিংয়ে এসে রভম্যান পাওয়েল ও রোমারিওকে বিদায় করেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিব। মাত্র ৪২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সেখান থেকে আকিলকে নিয়ে জুটি বেধে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন রস্টন চেজ। উইকেটে তিনি ভয়ানক হয়ে উঠলে রিশাদ এসে থামান তার ঝড়। বাংলাদেশি লেগ স্পিনারের বলে বোল্ড হয়ে ৩২ রানে ফেরেন চেজ। একই ওভারের পরে বলে মোটিকেও মাঠ ছাড়া করেন রিশাদ। গড়ে তোলেন হ্যাটট্রিকের চান্স। তবে হ্যাটট্রিক না করতে পারলেও বাংলাদেশকে ম্যাচ হাতের মুঠোয় এনে দেন রিশাদ। ফলে, অল্প রান তাড়ায় নেমে ১০২ রানেই থমকে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ১৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। সমান দুটি করে উইকেট নেন তানজিম সাকিব, রিশাদ হোসেন ও মেহেদি হাসান। হাসান মাহমুদের শিকার একটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৯/৭ (শামীম ৩৫*, মিরাজ ২৬, জাকের ২১, সৌম্য ১১, মেহেদী ১১, তানজিম ৯; মোতি ২/২৫, আকিল ১/১৬, আলজারি ১/২১, ম্যাকয় ১/৩২, চেজ ১/৮)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮.৩ ওভারে ১০২ (চেজ ৩২, আকিল ৩১, চার্লস ১৪, কিং ৮,পাওয়েল ৬, পুরান ৫; তাসকিন ৩/১৬,রিশাদ ২/১২, মেহেদী ২/২০, তানজিম ২/২২, হাসান ১/২৩)।
ফল: বাংলাদেশ ২৭ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-০ তে এগিয়ে।