সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে নির্ধারিত সিরিজের বাইরে অতিরিক্ত একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। ফলে মূল সূচির দুটি ম্যাচের সঙ্গে আরও একটি ম্যাচ যোগ হয়েছে- যা অনুষ্ঠিত হবে ২১ মে।
এই বাড়তি ম্যাচ আয়োজনের পেছনে রয়েছে কৌশলগত পরিকল্পনা। কারণ আমিরাত সফর শেষ করেই পাকিস্তানে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলতে যাবে বাংলাদেশ দল। বিসিবি চায়- মধ্যবর্তী সময়ে খেলোয়াড়দের যেন ফাঁকা সময় না কাটে। অতিরিক্ত ম্যাচটি খেললে পাকিস্তান সফরের আগে প্রস্তুতিও হবে আরও মজবুত।
এদিকে পাকিস্তান সফর নিয়েও চলছে চূড়ান্ত প্রস্তুতি। সম্প্রতি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে উষ্ণতা ফেরায় উভয় সরকারই সিরিজটি বাস্তবায়নে আগ্রহী। পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ দলকে দেওয়া হবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের ভিভিআইপি নিরাপত্তা। ম্যাচের সময়সূচি চূড়ান্ত করার স্বাধীনতাও দেওয়া হয়েছে বিসিবিকে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) থেকে দুটি সম্ভাব্য সূচি পেয়েছে বিসিবি। প্রথম সূচি অনুযায়ী, ২৭ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত পাঁচটি ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুই ম্যাচ হবে ২৭ ও ২৮ মে ফয়সালাবাদে, বাকি তিনটি ম্যাচ (৩১ মে, ১ ও ৩ জুন) অনুষ্ঠিত হবে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে। দ্বিতীয় বিকল্প অনুযায়ী, ২৭ ও ২৮ মে ম্যাচ হবে ফয়সালাবাদে, এরপর ৩১ মে, ২ ও ৪ জুন তিনটি ম্যাচ হবে লাহোরে।
তবে আট দিনে পাঁচটি ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারদের শরীরের ওপর বাড়তি চাপ ফেলবে বলে মত দিয়েছেন দলের ভেতরের অনেকে। এর বাইরে খেলোয়াড়দের ইচ্ছা- কোরবানির ঈদের অন্তত তিন দিন আগে দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো। তাই বিসিবি চার ম্যাচের একটি সংক্ষিপ্ত সিরিজের প্রস্তাব দিতে পারে পিসিবিকে।
এছাড়া আমিরাতের সঙ্গে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি আয়োজন করা গেলে দলের পাকিস্তান যাত্রা সরাসরি সম্ভব হবে। অন্যথায় দেশে ফিরে বিরতির পর পাকিস্তানে যেতে হবে, যা সফরের ব্যয় বাড়িয়ে দেবে। তাই বিসিবি অপেক্ষা করছে ইসিবির চূড়ান্ত সম্মতির।