২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রেড বুলের ফুটবল প্রকল্পের বৈশ্বিক প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন লিভারপুলের সাবেক হেড কোচ ইয়ুর্গেন ক্লোপ। ৫৭ বছর বয়সী এই জার্মান কোচ দীর্ঘ ২৫ বছরের কোচিং ক্যারিয়ারের পর এবার ফুটবলের নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে যাচ্ছেন। তার এই নতুন যাত্রায় রেড বুল ফুটবল প্রকল্পের পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।
রেড বুল, যাদের মালিকানায় রয়েছে চারটি ফুটবল ক্লাব—জার্মানির আরবি লিপজিগ, অস্ট্রিয়ার রেড বুল সলজবুর্গ, যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারের নিউইয়র্ক রেড বুলস এবং ব্রাজিলের রেড বুল ব্রাজান্টিনো। এছাড়া ইংল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের দল লিডসের কিছু শেয়ারও কিনেছে রেড বুল এবং সম্প্রতি ক্লাবটির জার্সির অন্যতম স্পন্সর হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
ক্লোপ দায়িত্ব গ্রহণের বিষয়ে নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “মাঠের সাইডলাইনে প্রায় ২৫ বছর কাটানোর পর এমন একটি বিশেষ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আমি ভীষণ শিহরিত। আমার কাজের ধরণ হয়তো বদলাবে, কিন্তু ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা এবং এই খেলাটির প্রতি আমার আবেগ কখনো কমবে না।”
রেড বুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ক্লোপ প্রত্যক্ষভাবে দৈনন্দিন কার্যক্রমে অংশ নেবেন না। তবে তিনি ক্লাবগুলোর ফুটবল দর্শন উন্নয়ন, দলবদল কৌশল এবং কোচিং ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়ে পরামর্শ দেবেন। তার ভূমিকা মূলত হবে স্ট্র্যাটেজিক এবং পরামর্শমূলক।
কোম্পানির করপোরেট প্রজেক্ট এবং বিনিয়োগ বিভাগের সিইও অলিভার মিন্টশালফ এই নতুন পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “ইয়ুর্গেন ক্লোপ বৈশ্বিক ফুটবলের অন্যতম সেরা ও প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব। তার অসাধারণ দক্ষতা ও ক্যারিশমা আমাদের ফুটবল প্রকল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। আমরা আশা করছি, তার নেতৃত্বে রেড বুল ফুটবল আরও উচ্চতায় পৌঁছাবে।”
ক্লোপের কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ২০০১ সালে, মেইঞ্জ ক্লাবের মাধ্যমে। এরপর ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ডর্টমুন্ডে তার সফলতার ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে লিভারপুলের হেড কোচ হিসেবে যোগ দেন। লিভারপুলের হয়ে তিনি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, প্রিমিয়ার লিগসহ অসংখ্য শিরোপা জয় করেন। ২০২৩ মৌসুম শেষে ক্লোপ লিভারপুলের হেড কোচের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান এবং বর্তমানে রেড বুল ফুটবল প্রকল্পের নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন।
ক্লোপের অভিজ্ঞতা এবং নেতৃত্বে রেড বুল ফুটবল প্রকল্পে নতুন দিক উন্মোচিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা বৈশ্বিক ফুটবল খেলার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে।