শুক্রবার উত্তর ইসরাইলের মাজদ আল-কুরুম শহরে হিজবুল্লাহর ছোঁড়া রকেটের আঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন দুজন এবং আহত হয়েছেন সাতজন। নিহতদের মধ্যে ১৯ বছরের যুবক আরজওয়ান মানা, যিনি স্থানীয় একটি বিপণীতে ক্যাশিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং ২১ বছরের হাসান সুয়াদ, যিনি ওই বিপণীতে ক্রেতা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনা অনুসরণ করে একটি টেলিভিশন ফুটেজে দেখা যায়, রকেট আঘাত হানার পর মেঝেতে রক্তের দাগ এবং ফল ও সবজির ব্যাগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। হামলার দায় স্বীকার করে হিজবুল্লাহ জানায়, তাদের লক্ষ্য ছিল মাজদ আল-কুরুমের পাশের শহর কার্মিয়েল।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলায় প্রায় ৩০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয় এবং শুক্রবার মোট ৬৫টি রকেট লেবানন থেকে উত্তর ইসরাইলের দিকে হামলা চালানো হয়।
এদিকে, ইসরাইলের মাগেন ডেভিড আদম অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা জানায়, আহতদের মধ্যে ২১ বছর বয়সী এক যুবকের অবস্থা গুরুতর এবং ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধও গুরুতর আহত হয়েছেন। অন্য আহতদের মধ্যে দুজনের অবস্থার অবনতি হয়েছে এবং তিনজনের আহত হওয়ার মাত্রা হালকা।
শুক্রবার পশ্চিম গ্যালিলির শোমেরা অঞ্চলে রকেটের আঘাতে অন্তত ৬ জন ইসরাইলি সেনা আহত হয়েছেন, যাদের অবস্থান বর্তমানে স্থিতিশীল।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, কিছু রকেট সফলভাবে প্রতিরোধ করা হয়েছে তবে কিছু খোলা জায়গায় আঘাত হেনেছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এছাড়া, পশ্চিম গ্যালিলি এবং গোলান মালভূমির ওপর দিয়ে আসা দুটি ড্রোনও ধ্বংস করা হয়েছে।
হিজবুল্লাহ ও ইসরাইলের মধ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে, ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযানে নেমেছে। শুক্রবারের হামলায় হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা বিভাগ ও বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটে আক্রমণ চালানো হয়েছে, যার ফলে লেবানন-সিরিয়া সীমান্তের একটি ক্রসিং এবং দক্ষিণ লেবাননের দুটি সুড়ঙ্গ ধ্বংস করা হয়।
এই সংঘাতের ফলে এখন পর্যন্ত ইসরাইলি বাহিনীর ৫৫ জন সদস্য এবং ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল