সোমবার সকালে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়ার তানিম্বার দ্বীপপুঞ্জ। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮—যা যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে বড় স্বস্তির খবর হলো, এত বড় কম্পনেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
জার্মান গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (GFZ)’ জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের মাত্র ১০ কিলোমিটার নিচে—অর্থাৎ বেশ কম গভীরে। যার কারণে কম্পন তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের বহু এলাকায়।
ঘটনার পরপরই দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে, তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো বিপর্যয়ের খবর নেই। সুনামির কোনো আশঙ্কাও নেই, এমনকি আন্তর্জাতিক কোনো সংস্থা থেকেও সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি।
ইন্দোনেশিয়া এমনিতেই প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশ। প্রায় ১৭ হাজার দ্বীপ নিয়ে গঠিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ-রাষ্ট্রটি টেকটোনিক প্লেটের মিলনস্থল ‘রিং অব ফায়ার’-এর ওপর অবস্থিত। আর এ কারণেই এখানে ঘনঘন ঘটে ভূমিকম্প, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতসহ নানা ভূতাত্ত্বিক ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, কম্পনের সময় ঘরবাড়ি কেঁপে উঠলেও আতঙ্ক ছাড়িয়ে যায়নি। অনেকে নিরাপদ স্থানে চলে যান, আবার অনেকেই রয়ে যান ঘরে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পের মাত্রা যেহেতু ৬-এর উপরে ছিল এবং গভীরতা কম ছিল, তাই পরিস্থিতি মারাত্মক রূপ নিতে পারত। কিন্তু এবার সৌভাগ্যক্রমে বড় ধরণের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেয়েছে ইন্দোনেশিয়া।
তবে ভূমিকম্পের এমন বারবারের ঘটনার কারণে দেশটিতে এখন আরও সতর্কভাবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও পূর্বপ্রস্তুতির ওপর জোর দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা।

