যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল স্কুলে গবেষণার জন্য দান করা মরদেহ চুরি ও কালোবাজারে বিক্রির ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবে বলে রায় দিয়েছেন- সর্বোচ্চ আদালত। আদালত উল্লেখ করেছে, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মরদেহগুলোর যথাযথ ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মর্গ ব্যবস্থাপক সেড্রিক লজ তাদের প্রিয়জনদের মরদেহ ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ চুরি করে কালোবাজারে বিক্রি করেছিলেন। ২০২৩ সালে লজের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়, যেটিতে তিনি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
বিচারপতি স্কট কাফকার রায়ে বলেন, “বাদীরা অভিযোগ করেছেন, হার্ভার্ড মরদেহগুলোর যথাযথ ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হয়েছে। মরদেহগুলোর সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা ভয়ংকর ও অসম্মানজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ের অবহেলার সুযোগে লজ বহু বছর ধরে এ অপকর্ম করেছেন।”
আদালতের রায়ে আরো বলা হয়েছে, দান করা মরদেহগুলোকে সম্মানজনকভাবে সংরক্ষণ ও যথাযথভাবে সামলানোর আইনি দায়িত্ব ছিল হার্ভার্ডের, যা তারা মারাত্মকভাবে ব্যর্থভাবে পালন করেছে। হার্ভার্ড নিজেই এই দায় স্বীকার করেছে।
লজ ২০১৮ সালে মর্গ থেকে মরদেহ চুরি শুরু করেন। তিনি মরদেহের মাথা, মস্তিষ্ক, ত্বক ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নিউ হ্যাম্পশায়ারের গফসটাউনে নিজের বাড়িতে নিয়ে যেতেন এবং স্ত্রীর সহায়তায় সেগুলো বিক্রি করতেন।
এই ঘটনায় মোট ১২টি মামলায় ৪৭ জন অভিযোগকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ এনেছেন। তারা দাবি করেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়টি বছরের পর বছর লজের কর্মকাণ্ড উপেক্ষা করেছে।
হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুল এক বিবৃতিতে লজের কর্মকাণ্ডকে জঘন্য উল্লেখ করেছে এবং বলেছে, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল্যবোধের পরিপন্থী। লজ গত মে মাসে সব অভিযোগ স্বীকার করেছেন এবং এখন রায় ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছেন।