যুক্তরাষ্ট্রের ৫৯ শতাংশ নাগরিক ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি , ৩৩ শতাংশ বিরোধী এবং বাকিরা অনিশ্চিত বা উত্তর দেননি বলে সাম্প্রতিক রয়টার্স ও ইপসোসের এক জরিপে উঠে এসেছে।
বিশেষভাবে, ডেমোক্র্যাটদের ৮০ শতাংশ এই স্বীকৃতির পক্ষে, আর রিপাবলিকানদের মধ্যে ৪১ শতাংশ সমর্থন জানিয়েছে। ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান দলের ৫৩ শতাংশ মানুষ ফিলিস্তিন স্বীকৃতির বিরোধিতা করেছেন।
একই সময়ে গাজার মানুষের তীব্র মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানম গেব্রিয়েসুস জানিয়েছেন, গাজায় স্বাস্থ্য বিপর্যয় এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যার প্রভাব আগামী প্রজন্ম পর্যন্ত অনুভূত হতে পারে।
তিনি বলেন, “গাজার জনগণের চাহিদা মেটাতে এখন ব্যাপক সহায়তা পৌঁছানো জরুরি। তবে সরবরাহ এখনও প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম।”
তেদরোস আরো জানিয়েছেন, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে ১০ অক্টোবর কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর কিছু চিকিৎসাসামগ্রী ও সহায়তা প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হলেও তা গাজার ভাঙাচোরা স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পুনর্গঠনের জন্য যথেষ্ট নয়।
তিনি বলেন, “গাজার মানুষ দুর্ভিক্ষ, আঘাত, স্বাস্থ্য ও পানি-নিষ্কাশন ব্যবস্থার ধ্বংস, সীমিত মানবিক সহায়তা—এই সব মিলিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি।”
জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএর প্রধান টম ফ্লেচারও উল্লেখ করেছেন, সহায়তা সংস্থাগুলো অনাহার সংকট সামাল দিতে কিছু অগ্রগতি করেছে, তবে আরো বড় ধরনের সহায়তা প্রয়োজন। হোয়াইট হাউস এই যুদ্ধবিরতিকে ২০ ধাপের শান্তি পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হিসেবে বর্ণনা করেছে, যেখানে গাজার জন্য সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত।

