Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Thu, Nov 13, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাণিজ্য
    • ব্যাংক
    • পুঁজিবাজার
    • বিমা
    • কর্পোরেট
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • মতামত
    • অন্যান্য
      • খেলা
      • শিক্ষা
      • স্বাস্থ্য
      • প্রযুক্তি
      • ধর্ম
      • বিনোদন
      • সাহিত্য
      • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » গণভোটে জনগণের প্রতি অবিচারের সম্ভাবনা কতটা?
    মতামত

    গণভোটে জনগণের প্রতি অবিচারের সম্ভাবনা কতটা?

    এফ. আর. ইমরানOctober 8, 2025
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    হোসেন জিল্লুর রহমান: সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা। ছবি: প্রথম আলো
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    ঐকমত্য একটি চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে দরকার। সাধারণ মানুষের চাহিদাটি হলো একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরণ এবং অর্থনীতি ভালো থাকা। এই দুটি বৃহত্তর জাতীয় চাহিদা মাথায় রেখেই আমাদের সমাধান খোঁজা দরকার।

    আমরা দেখছি, একটু ঐকমত্য হলো, আবার ঐকমত্যের ঘাটতি হলো—এখানে পরীক্ষা সবাই দিচ্ছে। কমিশন তার দক্ষতা ও নিয়তের পরীক্ষা দিচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলো সদিচ্ছার পরীক্ষা দিচ্ছে। জনগণ এখানে অনুপস্থিত নয়। জনগণ যমুনায় আমন্ত্রিত হচ্ছে না, কিন্তু পুরো প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখছে।

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রক্রিয়া তিনটি গন্তব্যের দিকে যেতে পারে। এর মধ্যে একটি কাঙ্ক্ষিত। সেটি হলো, সম্মানজনক ও কার্যকর সমাপ্তি। দুটি অনাকাঙ্ক্ষিত। একটি হলো, ব্যাপক আয়োজন সত্ত্বেও কোনো সুনির্দিষ্ট ফলাফল না আসা। অন্যটি হলো, হযবরল অবস্থা তৈরি হওয়া। এটির মানে হলো, এগোনোর পথ অপরিষ্কার।

    একটা বৈপরীত্য দেখা যাচ্ছে। যাঁরা ঐকমত্যের প্রক্রিয়ায় আছেন, ঐকমত্যের কথা বলছেন, কখনো কখনো তাঁরা একে অপরকে অবিশ্বাস করছেন। অবিশ্বাসের মধ্যে আমরা ঐকমত্য তৈরি করতে চাইছি, এটা তো স্ববিরোধী ব্যাপার।

    আমরা দেখছি, যেখানে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রয়োজন ছিল, সেটার বদলে গণভোটের দিকে যাত্রা করা হচ্ছে। কারণ, নিজেরা সমঝোতায় আসতে পারছে না। গণভোট কখন হবে, সেটা নিয়েও একেক পক্ষের মতামত একেক রকম। এ ক্ষেত্রে অনুপস্থিত মূল সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী জনগণ চরম বিরক্ত ও হতাশ হবে। কারণ, জনগণ চায় সম্মানজনক ও কার্যকর সমাপ্তি। অন্য কোনো গন্তব্য যেন তৈরি না হয়।

    হযবরল অবস্থা তৈরি হলে দেশের সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরণ হবে না। কোনোরকম উত্তরণ হলেও সমস্যার সমাধান ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা হবে না। সে জন্য আশা করব, সদিচ্ছার পরীক্ষায় রাজনৈতিক পক্ষগুলো যেন উত্তীর্ণ হয়। হযবরল অবস্থা তৈরির আশঙ্কা যেন তারা বুঝতে পারে।

    এখন সামনে এসেছে গণভোটের প্রসঙ্গ। এটা একধরনের মতামত জরিপ। পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারে (পিপিআরসি) আমাদের মতামত জরিপ করার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে। এটাকে পন্থা হিসেবে গ্রহণ করতে হলে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা প্রয়োজন।

    কোনো জটিল ও দুর্বোধ্য প্রস্তাবের ওপর গণভোট জনগণের প্রতি অবিচার করার শামিল। এতে হযবরল অবস্থা তৈরির আশঙ্কাই বেশি। গণভোটের মাধ্যমে মানুষকে তাত্ত্বিক জ্ঞান দেওয়ার কোনো আকাঙ্ক্ষা যদি এলিটদের (অভিজাত শ্রেণি) থাকে, সেটা গ্রহণযোগ্য হবে না। গণভোটের ক্ষেত্রে জটিল প্রস্তাব পরিহার করা প্রয়োজন। কারণ আমরা দেখেছি, জটিল বিষয়ে মতামত জরিপে প্রকৃত ফলাফল আসে না।

    গণভোটের ক্ষেত্রে প্রশ্নটি যদি প্রাক্‌-ধারণানির্ভর হয়, তাহলে কিন্তু সেটা সৎ গণভোট হবে না। গণভোট সৎ হওয়া দরকার। কী চাওয়া হচ্ছে, সেটা কি মানুষের কাছে পরিষ্কার? মানুষ কি জুলাই সনদ সম্পর্কে জানে? মানুষ কি আইনি ভিত্তি দিলে কী হবে, সে সম্পর্কে ধারণা রাখে? শহরের মানুষ কিছু কিছু জানতে পারে। কিন্তু প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্তিক মানুষেরা সেটা সম্পর্কে কি ধারণা রাখে?

    মতামত জরিপের একটি সাধারণ সমস্যা হলো ‘লিডিং কোশ্চেন’ সমস্যা। আমি যেভাবে উত্তর চাই, সেভাবেই প্রশ্নটি সাজালাম। কিন্তু সেটা হওয়া উচিত নয়।

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের কার্যক্রমের কার্যকর ও সম্মানজনক পরিসমাপ্তি যদি ১৫ অক্টোবরের মধ্যে হয়ে যায়, তারপর আরেকটি ঐকমত্য দরকার হবে। সেটিকে আমি বলছি ‘অন্য ঐকমত্য’। এর জন্য গণভোটের দরকার নেই। অন্য ঐকমত্য হলো, রাজনৈতিক দলগুলোকে গণ ঘোষণার মাধ্যমে বলতে হবে দুর্নীতিমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক দলগুলো কী কী করবে। এ বিষয়ে তাদের সুনির্দিষ্ট অঙ্গীকার থাকা দরকার। নির্বাচনী ইশতেহারে সেটা থাকতে পারে। তাহলে আমরা বলতে পারব, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে ঐকমত্য যেমন হয়েছে, তেমনটি ‘অন্য ঐকমত্যও’ হয়েছে।

    মানুষ যে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান করেছে, সেটার আকাঙ্ক্ষাকে কোনোভাবেই বিসর্জন দেওয়া যাবে না। এটা আমাদের অন্যতম একটি জাতীয় অর্জন। কাগজে-কলমে যা-ই হোক, আইন হোক, ধারা যুক্ত হোক, সেটা ছুড়ে ফেলে দেওয়া যায়। এর অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। কিন্তু যেটা ছুড়ে ফেলা যায় না, সেটা হলো মানুষের আকাঙ্ক্ষা, পরিবর্তনের প্রত্যাশা। জনপরিসরে সুস্পষ্ট অঙ্গীকারে শামিল হলে সেখান থেকে ফিরে যাওয়াটা কঠিন।

    • হোসেন জিল্লুর রহমান,
      সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান। সূত্র: প্রথম আলো

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    মতামত

    কূটনৈতিক ম্যানিপুলেশন ও গণতান্ত্রিক চ্যালেঞ্জ

    November 12, 2025
    মতামত

    ‘অবৈধ’ ট্যাগ দিয়ে হকার উচ্ছেদ কতটা যৌক্তিক?

    November 12, 2025
    মতামত

    প্রস্তাবিত ভোলা-বরিশাল সেতু বদলে দিতে পারে অর্থনীতির চাকা

    November 11, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সাউথইস্ট ব্যাংকে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাত

    আইন আদালত October 7, 2025

    ক্রেতারা ভারত-চীন ছাড়ছে, বাংলাদেশ পাচ্ছে অর্ডার

    অর্থনীতি August 15, 2025

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement
    • About Us
    • Contact Us
    • Terms & Conditions
    • Comment Policy
    • Advertisement

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2025 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.