Close Menu
Citizens VoiceCitizens Voice
    Facebook X (Twitter) Instagram YouTube LinkedIn WhatsApp Telegram
    Citizens VoiceCitizens Voice Thu, Jun 19, 2025
    • প্রথমপাতা
    • অর্থনীতি
    • বাংলাদেশ
    • আন্তর্জাতিক
    • আইন
    • অপরাধ
    • খেলা
    • প্রযুক্তি
    • বিনোদন
    • মতামত
    • সাহিত্য
    • ভিডিও
    Citizens VoiceCitizens Voice
    Home » হ্যাকার একটি আতঙ্কের নাম
    প্রযুক্তি

    হ্যাকার একটি আতঙ্কের নাম

    নাহিদSeptember 25, 2024Updated:October 18, 2024
    Facebook Twitter Email Telegram WhatsApp Copy Link
    Share
    Facebook Twitter LinkedIn Telegram WhatsApp Email Copy Link

    ডিজিটাল যুগের উন্নতির সাথে সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবন তথ্য প্রযুক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে। তবে, এই প্রযুক্তির  বিপ্লবের পাশাপাশি নতুন ধরনের ঝুঁকি ও আতঙ্কের জন্ম হয়েছে। “হ্যাকার” শব্দটি সেই আতঙ্কের প্রতীক হয়ে উঠেছে।

    হ্যাকার বলতে মূলত তাদের বোঝানো হয় যারা কম্পিউটার সিস্টেম, নেটওয়ার্ক, বা সফটওয়্যার সিস্টেমে অবৈধভাবে প্রবেশ করে এবং বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে । হ্যাকারদের সাধারণত তিনটি প্রধান শ্রেণী রয়েছে:

    • সাদা হ্যাট হ্যাকার: এই হ্যাকাররা সিকিউরিটি প্রোফেশনাল হিসেবে কাজ করে এবং সিস্টেমের নিরাপত্তা দুর্বলতা খুঁজে বের করতে সহায়ক হয়। তারা দুর্বলতাগুলি সংশোধনের জন্য সিস্টেম মালিকদের কাছে রিপোর্ট করে।
    • কালো হ্যাট হ্যাকার: এই হ্যাকাররা অবৈধভাবে সিস্টেমে প্রবেশ করে এবং ক্ষতিকর উদ্দেশ্যে নিয়ে কাজ করে। তারা ব্যক্তিগত তথ্য চুরি, মালওয়্যার ছড়ানো, এবং অন্যান্য অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে।
    • গ্রে হ্যাট হ্যাকার: এই হ্যাকাররা মাঝে মাঝে সাদা ও কালো হ্যাট হ্যাকারদের মধ্যে একটি অবস্থানে থাকে। তারা নিরাপত্তা দুর্বলতাগুলি খুঁজে বের করতে পারে, কিন্তু সেগুলি অবৈধভাবে ব্যবহার না করে সিস্টেম মালিকদের জানায়।

     

    হ্যাকাররা বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে তাদের লক্ষ্য অর্জন করে:

    • ফিশিং: ব্যবহারকারীদের প্রলোভিত করে তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরির জন্য ফিশিং ইমেইল বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয়।
    • মালওয়্যার: কম্পিউটার সিস্টেমে ক্ষতিকর সফটওয়্যার ইনস্টল করা হয় যা সিস্টেমের কার্যকারিতা বিঘ্নিত করে বা তথ্য চুরি করে।
    • ডিডস অ্যাটাক (DDoS Attack): একটি সাইট বা সার্ভিসকে অপ্রচলিত ট্রাফিক দ্বারা আক্রান্ত করা হয় যাতে সেটি ডাউন হয়ে যায় বা কাজ করতে বিঘ্ন ঘটায় ।
    • এক্সপ্লয়েটস: সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে বের করে তা ব্যবহার করা হয়। এক্সপ্লয়টগুলোর মাধ্যমে হ্যাকাররা সিস্টেমে প্রবেশ করে নিয়ন্ত্রণ নিতে পারে।

     

    হ্যাকারদের কার্যক্রমে নানা ধরনের ক্ষতি এবং বিপদ সৃষ্টি হয়:

    • ব্যক্তিগত তথ্য চুরি: হ্যাকাররা ব্যক্তিগত তথ্য, যেমন ব্যাংক একাউন্ট নম্বর, ক্রেডিট কার্ড তথ্য, এবং অন্যান্য সংবেদনশীল তথ্য চুরি করতে পারে, যা আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
    • অর্থনৈতিক ক্ষতি: প্রতিষ্ঠানের সিস্টেমে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি সাধন হতে পারে। কোম্পানিগুলো ক্ষতি ও আইনগত দণ্ডের সম্মুখীন হতে পারে।
    • সিস্টেমের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়া: হ্যাকারদের দ্বারা সিস্টেমের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হলে সিস্টেমের কার্যকারিতা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হারানো বা নষ্ট হতে পারে।
    • বিশ্বাসের অবক্ষয়: সাইবার হামলার ফলে গ্রাহকদের ও সাধারণ জনগণের মাঝে কোম্পানির বা প্রতিষ্ঠানের প্রতি বিশ্বাস কমে যেতে পারে।

     

    নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন বা হ্যাকারদের হুমকি মোকাবেলার জন্য যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা হয়েছে:

    • এনক্রিপশন: তথ্য এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়। এনক্রিপ্ট করা তথ্য হ্যাকারদের জন্য অপ্রবণযোগ্য হয়।তাই সেগুলো তারা ব্যবহার করতে পারে না।
    • অ্যান্টি-ভাইরাস এবং ফায়ারওয়াল: অ্যান্টি-ভাইরাস সফটওয়্যার এবং ফায়ারওয়াল ব্যবহার করে সিস্টেমে অনুপ্রবেশ এবং ক্ষতিকর কার্যক্রম প্রতিরোধ করা সম্ভব হয় ।
    • নিয়মিত আপডেট ও প্যাচ: সফটওয়্যার ও সিস্টেমের নিয়মিত আপডেট এবং সিকিউরিটি প্যাচ ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
    • প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতা: ব্যবহারকারীদের সাইবার সিকিউরিটি সম্পর্কে সচেতনতা এবং প্রশিক্ষণ প্রদান করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি ফিশিং এবং অন্যান্য সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে।

     

    ভবিষ্যতের দৃষ্টিভঙ্গি-

    নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনের সাথে সাথে হ্যাকারদের কৌশলও উন্নত হচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিয়মিতভাবে নতুন প্রযুক্তি ও কৌশল গ্রহণ করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতে, সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের আরও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং সচেতনতা বৃদ্ধি করে হ্যাকারদের মোকাবেলা করতে হবে।

    হ্যাকাররা ডিজিটাল যুগে একটি গুরুতর আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছে। তাদের কার্যক্রম তথ্য নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক ক্ষতি, এবং সামাজিক বিশ্বাসের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। হ্যাকারদের হুমকি মোকাবেলায় শক্তিশালী সাইবার নিরাপত্তা ব্যবস্থা, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন, এবং ব্যবহারকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি অপরিহার্য। নিরাপত্তার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হলে, সমন্বিত প্রচেষ্টা ও প্রযুক্তি ভিত্তিক সমাধান গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই জনসচেতনতার স্বার্থে এই প্রতিবেদনটি করা। আমাদের উচিত প্রত্যেককেই আরো সতর্ক হওয়া। বর্তমান যুগ যেমন ইন্টারনেটের ব্যবহারের কারণে হাতের মুঠোয় পুরো বিশ্ব ঠিক তেমনি আমাদের মনে রাখা উচিত আমাদের ব্যক্তিগত তথ্যগুলো অন্যের কাছে চলে যাওয়া খুবই স্বাভাবিক সেজন্য আমাদের সকলের উচিত আরও বেশি সচেতন হওয়া।

    Share. Facebook Twitter LinkedIn Email Telegram WhatsApp Copy Link

    সম্পর্কিত সংবাদ

    প্রযুক্তি

    স্টারলিংকের চেয়েও ৫ গুণ বেশি গতির ইন্টারনেট আবিষ্কার চীনের

    June 18, 2025
    প্রযুক্তি

    গুগলে যেসব বিষয় সার্চ করে মাশুল দিতে যাবেনা!

    June 17, 2025
    প্রযুক্তি

    ৩০০ কোটির মাইলফলক ছুঁয়ে বার্তা আদান-প্রদানে শীর্ষে হোয়াটসঅ্যাপ

    June 15, 2025
    Leave A Reply Cancel Reply

    সর্বাধিক পঠিত

    সব ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী নয়

    মতামত January 13, 2025

    দেশের অর্থনৈতিক স্থবিরতা কি কেটে উঠা সম্ভব?

    অর্থনীতি May 29, 2025

    বাজেটের স্বাধীনতা: বিচার বিভাগের স্বাধীনতার অন্যতম নিয়ামক

    আইন আদালত June 1, 2025

    বরিশালের উন্নয়ন বঞ্চনা: শিল্প, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতে নেই অগ্রগতি

    মতামত April 22, 2025
    সংযুক্ত থাকুন
    • Facebook
    • Twitter
    • Instagram
    • YouTube
    • Telegram

    EMAIL US

    contact@citizensvoicebd.com

    FOLLOW US

    Facebook YouTube X (Twitter) LinkedIn
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy
    • About Us
    • Contact Us
    • Privacy Policy
    • Comment Policy

    WhatsAppp

    01339-517418

    Copyright © 2024 Citizens Voice All rights reserved

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.