বাংলাদেশের ফোন নম্বরগুলি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিত হয় +৮৮০ কোড দিয়ে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের জন্যও রয়েছে নির্দিষ্ট আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড। যেমন, ভারতের জন্য কোড হলো +৯১, পাকিস্তানের জন্য +৯২ এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার জন্য +১। তবে এই কোডগুলো কীভাবে নির্ধারণ করা হলো, তা নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল রয়েছে।
আসলে +৮৮০ কোডটি বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড বা কান্ট্রি কোড। +৮৮ হলো একটি আঞ্চলিক কোড, যা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের জন্য নির্ধারিত। এর পর ০ দিয়ে বাংলাদেশকে সুনির্দিষ্ট করা হয়। এই কারণেই বিদেশ থেকে বাংলাদেশের ফোন নম্বরে কল করতে হলে +৮৮০ কোড ব্যবহার করতে হয়।
আন্তর্জাতিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোডের প্রয়োজন হয়, যা ‘আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড’ বা ‘কান্ট্রি কোড’ হিসেবে পরিচিত। এই কোডের মাধ্যমে এক দেশের ফোন নম্বরকে অন্য দেশ থেকে নির্দিষ্টভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়।
কান্ট্রি কোডগুলো মূলত ‘ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়ন’ বা আইটিইউ নির্ধারণ করে। আইটিইউ হলো একটি বিশেষ সংস্থা, যা জাতিসংঘের অধীনে কাজ করে এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগের নিয়ম ও মান নির্ধারণের জন্য দায়িত্বশীল। ১৯৬০ এর দশকে এই সংস্থাটি প্রতিটি দেশের জন্য একটি নির্দিষ্ট কোড বরাদ্দ করে, যাতে বৈশ্বিক যোগাযোগ সহজ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়।
প্রতিটি দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, জনসংখ্যা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে এসব কোড তৈরি করা হয়েছে। যখন একজন ব্যক্তি একটি দেশ থেকে অন্য দেশে কল করতে চায়, তখন সেই দেশের নির্দিষ্ট কান্ট্রি কোড ব্যবহার করে নির্দিষ্ট নম্বরে কল পৌঁছানো সম্ভব হয়। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে বিদেশ থেকে কল করতে চাইলে +৮৮০ কোড ব্যবহার করে তারপর নির্দিষ্ট ফোন নম্বর দিতে হয়।
এদিকে, আন্তর্জাতিক ডায়ালিং কোড ছাড়া এক দেশের ফোন নম্বরে অন্য দেশ থেকে কল করা সম্ভব নয়। যেমন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে কল করতে চাইলে বাংলাদেশের নম্বরটির আগে কান্ট্রি কোডটি যোগ করতে হবে। তবে, দেশের অভ্যন্তরে কল করতে হলে শুধুমাত্র সরাসরি নম্বর ডায়াল করলেই যথেষ্ট।
সুতরাং, ফোন নম্বরের এই আন্তর্জাতিক কোডগুলো বৈশ্বিক যোগাযোগকে সহজ এবং সুবিধাজনক করে তোলে, যা বর্তমান যুগে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।