প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে ল্যাপটপ এখন একটি অপরিহার্য ডিভাইস। পড়াশোনা, অফিসের কাজ বা ব্যক্তিগত প্রয়োজনে অনেকেই এটি সঙ্গে নিয়ে বাইরে যান। তবে ল্যাপটপ ব্যবহারের সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে কিছু নিরাপত্তার ঝুঁকিও। বিশেষ করে ওয়েবক্যামের মাধ্যমে যদি কেউ গোপনে নজরদারি করে। তাহলে এটি ব্যবহারকারীর জন্য মারাত্মক বিপদ হয়ে উঠতে পারে।
ওয়েবক্যাম হ্যাকিং শনাক্ত করবেন কীভাবে?
ল্যাপটপের ক্যামেরা যদি হ্যাক হয়ে যায়, তবে কিছু লক্ষণের মাধ্যমে তা বোঝা সম্ভব।
ল্যাপটপের ক্যামেরার পাশে থাকা LED ইন্ডিকেটর সাধারণত ক্যামেরা চালু হলে জ্বলে ওঠে। কিন্তু আপনি যদি কোনো ভিডিও কল বা লাইভ স্ট্রিমিং না করে থাকেন এবং তারপরও এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে যায়। তাহলে এটি হ্যাকিংয়ের লক্ষণ হতে পারে।
হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে যদি ল্যাপটপে ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার প্রবেশ করে। তবে এটি ধীরগতির হয়ে যেতে পারে। বিশেষ করে, যদি হঠাৎ ল্যাপটপের গতি কমে যায় বা এটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি গরম হয়ে যায়, তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।
যদি ল্যাপটপে এমন কোনো সফটওয়্যার বা ফাইল দেখতে পান। যা আপনি ইনস্টল করেননি, তবে এটি ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার হতে পারে। বিশেষ করে, সন্দেহজনক পপ-আপ বিজ্ঞাপন বা অনাকাঙ্ক্ষিত ডাউনলোডের অনুরোধ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
কোনো নির্দিষ্ট অ্যাপ বা ভিডিও রেকর্ডিং সফটওয়্যার আপনি চালু না করলেও যদি এটি নিজে থেকেই চালু হয়ে যায়, তাহলে এটি ওয়েবক্যাম হ্যাকিংয়ের ইঙ্গিত দিতে পারে।
কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন?
ল্যাপটপের ক্যামেরা ঢেকে রাখার জন্য স্টিকার বা ওয়েবক্যাম কভার ব্যবহার করুন। এটি ক্যামেরার মাধ্যমে গোপন নজরদারির ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনে।
একটি আপডেটেড অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করলে ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার ও স্পাইওয়্যার শনাক্ত ও প্রতিরোধ করা সহজ হবে।
নিয়মিতভাবে ল্যাপটপের সফটওয়্যার ও ইনস্টল করা অ্যাপের তালিকা পর্যালোচনা করুন। কোনো সন্দেহজনক সফটওয়্যার দেখতে পেলে দ্রুত সেটি মুছে ফেলুন।
অপারেটিং সিস্টেম ও ব্রাউজারের নিরাপত্তা সেটিংস নিয়মিত আপডেট করুন। এটি হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
বর্তমানে সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত জরুরি। ওয়েবক্যাম হ্যাকিংয়ের লক্ষণগুলো যদি নজরে আসে, তাহলে দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। সচেতন থাকলেই সাইবার ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব।