বিশ্বের দ্রুততম সুপারকম্পিউটার যেখানে একটি জটিল সমস্যা সমাধানে নিতে পারে বিলিয়ন বছর, সেখানে চীনের বিজ্ঞানীরা মাত্র ৪ মিনিটেই সেই সমস্যার সমাধান করেছেন। অবিশ্বাস্য এই সাফল্য এসেছে তাদের তৈরি ফোটন-ভিত্তিক কোয়ান্টাম কম্পিউটার ‘জিউঝাং’-এর মাধ্যমে।
‘জিউঝাং’ একটি ৭৬-কিউবিট কোয়ান্টাম কম্পিউটার। যা কাজ করে লেজার, আয়না, প্রিজম ও ফোটন ডিটেক্টরের সমন্বয়ে। এটি ব্যবহার করে ‘গসিয়ান বোসন স্যাম্পলিং’ নামের একটি বিশেষ প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে ফোটনের সংখ্যা গণনা করা হয়। যেখানে সাধারণ সুপারকম্পিউটার একসঙ্গে মাত্র ৫টি ফোটন গণনা করতে পারে, সেখানে জিউঝাং পারছে ৭৬টি ফোটন গণনা করতে- তা-ও আশ্চর্যজনকভাবে স্বল্প সময়ে।
বিজ্ঞানীদের মতে, এ আবিষ্কার শুধু তাত্ত্বিকভাবে নয়, ব্যবহারিক ক্ষেত্রেও বিপ্লব ঘটাতে পারে। বিশেষ করে কোয়ান্টাম রসায়ন, জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান এবং ভবিষ্যতের কোয়ান্টাম ইন্টারনেট নির্মাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই প্রযুক্তি।
কোয়ান্টাম কম্পিউটার ও সাধারণ কম্পিউটারের মূল পার্থক্য তথ্য প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতিতে। কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সুপারপজিশন ও এনট্যাঙ্গলমেন্ট- এই দুই বৈশিষ্ট্য কোয়ান্টাম কম্পিউটারকে করে তোলে অসাধারণ গতিসম্পন্ন ও কার্যক্ষম।
চীনের বিজ্ঞানীদের এই সাফল্য কেবল কোয়ান্টাম প্রযুক্তির দিগন্তই উন্মোচন করেনি বরং আধুনিক গণনার জগতে এনেছে নতুন সম্ভাবনার যুগ। ভবিষ্যতের সুপার-ফাস্ট কম্পিউটিং এখন আর শুধু কল্পনা নয়- তা বাস্তবতার পথে।