ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনূস বলেছেন, বিমসটেকের (বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি-সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন) উচিত যুব, পরিবেশ এবং জলবায়ু সংকটের দিকে আরও অধিক মনোযোগ দিতে। মহাসচিব রাষ্ট্রদূত ইন্দ্র মণি পান্ডের সঙ্গে এই বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
মহাসচিব পান্ডে জানান, বিমসটেকের সদস্য দেশগুলো একত্রিত হয়ে সংগঠনটিকে একটি কার্যকর এবং সক্রিয় আঞ্চলিক ফোরামে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করছে। তিনি বিশেষ করে আগামী শীর্ষ সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে বলেন, “বাংলাদেশ শীঘ্রই বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করবে, যা অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে নতুন করে প্রাণ সঞ্চার করবে।”
পান্ডে বলেন, “আমরা কার্যকরভাবে আরও সক্রিয় সংগঠনে পরিণত হওয়ার জন্য প্রস্তুত।” তিনি জানান, থাইল্যান্ডে সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে এবং শীঘ্রই নতুন সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।
এই বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস তরুণদের সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন এবং বলেন, “তরুণরা আমাদের ভবিষ্যত।” তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, ঢাকা শীঘ্রই তরুণদের জন্য একটি উৎসবের আয়োজন করবে, যেখানে সাতটি দেশ তাদের তরুণদের অংশগ্রহণের জন্য পাঠাবে।
রাষ্ট্রদূত পান্ডে অধ্যাপক ইউনূসের থ্রি জিরো আন্দোলনকে প্রশংসা করে বলেন, নারীকেন্দ্রিক উন্নয়নও বিমসটেকের প্রধান অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। অধ্যাপক ইউনূস জানান, নেপালে ৭০০টিরও বেশি থ্রি জিরো ক্লাব প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং অন্তত আটটি ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক ব্যবসা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
বৈঠকে আলোচনার ভিত্তিতে, বাংলাদেশ ও অন্যান্য বিমসটেক সদস্য দেশের মধ্যে যুব, পরিবেশ ও জলবায়ু সংকটের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে সামনে আনার জন্য একটি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হচ্ছে। এই উদ্যোগগুলো আগামী দিনে বিমসটেককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।