আজ রোববার (২৯ জুন) দুপুর ১টার মধ্যেই দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বেশ কিছু জেলায় ঝড়ো হাওয়া এবং বজ্রসহ বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সকালে দেওয়া বিশেষ সতর্কবার্তায় জানানো হয়, যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার গতিতে দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এর সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদীপথে চলাচল করা ছোট নৌযানগুলোকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে, কারণ হঠাৎ আসা ঝড়ো হাওয়ার কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি রয়েছে।
এদিকে, আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের সার্বিক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের সব বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়া, বিদ্যুৎ চমকানো এবং হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এতে এসব এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়ে স্থানীয়ভাবে জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। দুপুরের পর ঝড়ো হাওয়ার গতি ও তীব্রতা আরও বাড়তে পারে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরের ওপর একটি সক্রিয় মৌসুমি চাপ অবস্থান করছে। এর প্রভাবেই উপকূলীয় অঞ্চল ও আশপাশের জেলাগুলোতে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়া লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই বৃষ্টিপাত আজকের মধ্যেই থেমে যাবে না। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সারা সপ্তাহজুড়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে এমন বৃষ্টির ধারা অব্যাহত থাকতে পারে।
বৃষ্টি ও ঝড়ের এমন পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে সাবধানতার সঙ্গে চলাচলের পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে নৌপথে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহনগুলোকে সব ধরনের সতর্কতা মেনে চলতে বলা হয়েছে।