বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গুমের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের ক্ষমতা সম্প্রসারণ করা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত রোববার এ সংক্রান্ত দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬ এর অধীনে এই ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব শেখ আব্দুর রশিদের স্বাক্ষরিত প্রথম প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে যে কমিশনকে আইন অনুযায়ী সেকশন ১০-এর আওতায় আরও ক্ষমতা অর্পণ করা হয়েছে। এই ক্ষমতার মাধ্যমে গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন গুমের ঘটনাগুলোর বিস্তারিত তদন্ত করতে সক্ষম হবে। প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর করা হয়েছে এবং এতে কমিশনের ক্ষমতার পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে।
অপর প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে কমিশন অব ইনকোয়ারি অ্যাক্ট ১৯৫৬-এর সেকশন ৫-এর বিভিন্ন ধারা কমিশনের ওপর প্রযোজ্য করা হয়েছে। এর মধ্যে সেকশন ৫-এর সাব সেকশন ২, ৩, ৪, ৫ এবং ৬ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ধারাগুলোর মাধ্যমে কমিশন তদন্ত প্রক্রিয়ায় আরও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে এবং তাদের ক্ষমতার সুযোগ আরও বাড়ানো হবে। এই নির্দেশনাও অবিলম্বে কার্যকর হয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশন আগামী ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত গুমের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ গ্রহণ করবে। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা, তাদের পরিবারের সদস্যরা বা প্রত্যক্ষদর্শীরা এই কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাতে পারবেন। ডাকযোগে ও ই-মেইলের মাধ্যমে এই অভিযোগ পেশ করা যাবে। অভিযোগ জানানোর ঠিকানা: ৯৬ গুলশান, গুমসংক্রান্ত তদন্ত কমিশন। ই-মেইল: edcommission.bd@gmail.com
কমিশনটির গঠন এবং এর ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রক্রিয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে গুমের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় এই কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।