নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হতে যাচ্ছে। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী সার্চ কমিটির প্রধান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ ইতোমধ্যে তাঁর নাম সুপারিশ করেছেন। সদস্য হিসেবে হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি একেএম আসাদুজ্জামানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন প্রধান বিচারপতির মনোনীত এই দুই বিচারপতির নাম মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল সাংবাদিকদের জানান,
নির্বাচন কমিশন গঠন সংক্রান্ত সার্চ কমিটি গঠন হয়ে গেছে এবং প্রজ্ঞাপনটি হয়তো প্রধান উপদেষ্টা স্বাক্ষর করেছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আজ বা কালকের মধ্যেই প্রজ্ঞাপনটি জারি হবে। এভাবে দেশের নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু হচ্ছে।
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, সার্চ কমিটি গঠিত হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং এর পর ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু হবে। তিনি জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করবে এবং ভুয়া নির্বাচন করার পরিকল্পনা নেই।
জাতীয় সংসদে পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করেন। আপিল বিভাগের একজন বিচারকের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের এই অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, এই কমিটি ১০ জনের নাম প্রস্তাব করবে এবং সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি ৫ জনকে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য মনোনীত করবেন।
সার্চ কমিটিতে প্রধান বিচারপতির মনোনীত একজন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক অন্তর্ভুক্ত থাকবেন, যার মধ্যে একজন অবশ্যই নারী।
কমিটির সভায় তিন সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম থাকবে এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সার্চ কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করবে। সার্চ কমিটির কাছে রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ পেশ করার জন্য ১৫ কার্যদিবসের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার আশা প্রকাশ করা হচ্ছে। জনসাধারণের কাছে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্য নিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।