রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ব্যবসা খাতে নানা চ্যালেঞ্জ থাকলেও ভারতভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ম্যারিকো বাংলাদেশ টিকতে সক্ষম হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী,
জুলাই-সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির মুনাফা ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকায়। গত বছরের একই সময়ের ১১৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকার তুলনায় এটি উল্লেখযোগ্য একটি সাফল্য।
ম্যারিকোর এই প্রান্তিকের বিক্রয় আয়ও চমকপ্রদ। কোম্পানিটি এই সময় মোট ৪০৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার পণ্য বিক্রি করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে প্যারাশুট ব্র্যান্ডের নারিকেল তেলের প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ বৃদ্ধির কারণে এই সাফল্য এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।
শেয়ারহোল্ডারদের জন্য কোম্পানিটি ৪৫০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। লভ্যাংশ বিতরণের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের যোগ্যতা নির্ধারণের রেকর্ড তারিখ হিসেবে ১৮ নভেম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। এর আগে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে ম্যারিকো বাংলাদেশ ১,০০০ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল, যা বিনিয়োগকারীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাসের জন্ম দিয়েছিল।
তবে, এ সব ইতিবাচক খবর থাকা সত্ত্বেও রবিবার কোম্পানির শেয়ার দর ০.২৯ শতাংশ কমে ২২০০ টাকায় লেনদেন হয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং বাজারের অস্থির পরিবেশ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছু উদ্বেগ তৈরি করেছে, যা শেয়ার বাজারের উপর চাপ ফেলতে পারে।
ম্যারিকো বাংলাদেশের মুনাফা বৃদ্ধির এই অর্জন বিনিয়োগকারীদের কাছে একটি আশাব্যঞ্জক সংকেত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কোম্পানিটি ভবিষ্যতে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে এবং শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আরও মূল্য সংযোজনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।