মেলবোর্নের মেলবোর্ন কনভেনশন অ্যান্ড এক্সিবিশন সেন্টারে আজ শেষ হচ্ছে তিনদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রদর্শনী। গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো নামে পরিচিত এ আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছে বিশ্বের ২০ দেশের প্রায় ৪৫০টি উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশও এ প্রদর্শনীতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে, যেখানে ১০টি বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান নিজেদের রফতানি পণ্য নিয়ে হাজির হয়েছে।
ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আটটি পোশাক উৎপাদক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সরাসরি রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) অর্থায়নে অংশগ্রহণ করছে। এছাড়া, আরও দুটি প্রতিষ্ঠান ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিজেদের পণ্য প্রদর্শনের সুযোগ গ্রহণ করেছে।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি রফতানি পণ্যসামগ্রীর এ প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কমার্শিয়াল কাউন্সেলর রনি চাকমা এবং গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইনফরমা মার্কেটসের প্রধান নির্বাহী মেরি কিন্সেলা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মুরাদ ইউসুফ।
প্রদর্শনীটি অস্ট্রেলিয়ার সিডনি ও মেলবোর্নে প্রতি বছর দু’বার অনুষ্ঠিত হয় এবং এটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ হিসেবে পরিচিত। এ ধরনের আয়োজন আমদানি-রফতানিকারক, উৎপাদক ও সরবরাহকারীদের মধ্যে নতুন বাজার অনুসন্ধান, পারস্পরিক যোগাযোগ এবং পণ্য প্রদর্শনের জন্য সুযোগ করে দেয়।
বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় রফতানি হওয়া পণ্যের প্রায় ৯৩ শতাংশই তৈরি পোশাকসামগ্রী। বর্তমানে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার ৩৮তম বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। এ প্রদর্শনী বাংলাদেশি পণ্যের গুণগত মান তুলে ধরার পাশাপাশি নতুন বাণিজ্যিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক শিল্পের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রদর্শনী সেই সম্ভাবনাকে আরও প্রসারিত করার একটি সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তিনদিনব্যাপী এ প্রদর্শনী অস্ট্রেলিয়ার ক্রেতা ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক অংশীদারদের কাছে বাংলাদেশি পণ্যের গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।