যুক্তরাষ্ট্রের সরকার চীনের দুটি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। অভিযোগ উঠেছে যে, এসব কোম্পানি রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে ব্যবহৃত দূরপাল্লার আক্রমণকারী ড্রোন ডিজাইন, নির্মাণ ও সরবরাহে সহায়তা করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার এই তথ্য প্রকাশ করেছেন।
নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রথমটি হলো জিয়ামেন লিম্বাচ এয়ারক্রাফ্ট ইঞ্জিন। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এই কোম্পানিটি রাশিয়ায় ব্যবহৃত ইউএভি (আনম্যানড এরিয়াল ভেহিকল) ড্রোনে ব্যবহৃত ইঞ্জিন তৈরি করেছে। দ্বিতীয় কোম্পানি রেডলেপাস ভেক্টর ইন্ডাস্ট্রি শেনজেন, রাশিয়ার টিএসকে ভেক্টরের সঙ্গে সহযোগিতা করে ড্রোন সরবরাহের জন্য অভিযুক্ত হয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট জানায়, এই নিষেধাজ্ঞা চীনা কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে সরাসরি রাশিয়ান সংস্থাগুলোর সঙ্গে ড্রোন ডিজাইন ও উৎপাদনের জন্য প্রথমবারের মতো আরোপিত হয়েছে যদিও এর আগে বিভিন্ন চীনা কোম্পানির ওপর রাশিয়ার সামরিক-শিল্প ঘাঁটিতে ব্যবহৃত উপাদান সরবরাহের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।
চীন এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। চীনের বিদেশ মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ হিসেবে অভিহিত করেছে এবং এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আপত্তি তুলেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও রাজনৈতিক সমীকরণের ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশ্ব রাজনীতিতে এর সম্ভাব্য পরিণতি সম্পর্কিত উদ্বেগ বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামীতে রাশিয়া ও চীনের সম্পর্ককে আরো জটিল করে তুলতে পারে।