ব্রাসেলস থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন উল্লেখ করে, “আক্রমণ ও প্রতিশোধের বিপজ্জনক চক্র আঞ্চলিক সংঘাতকে আরও ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ করতে পারে।”
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) শনিবার ইসরাইলের ইরানে মারাত্মক বিমান হামলা পর সকল পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিবৃতিতে ইইউ স্পষ্ট করেছে, তারা ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার স্বীকার করে। তবে তারা এ সময় সকল পক্ষকে উত্তেজনা বৃদ্ধি থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানায়। তাদের বক্তব্য, এই উত্তেজনা বৃদ্ধি কোন পক্ষের স্বার্থে যাবে না।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও ইসরাইলের হামলার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে অগ্রসর হয়েছেন। তিনি বলেন,
“ইসরাইলের ওপর ১ অক্টোবরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে তেল আবিব ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানে শুক্রবার ভোরে বিমান হামলা চালিয়েছে।”
তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার থাকা সত্ত্বেও সকল পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানানো উচিত।
আরো বলেন, “ইরানের উচিত হবে না, ইসরাইলি হামলার প্রতিশোধ নেওয়া।”
এই পরিস্থিতির মধ্যে আন্তর্জাতিক মহল, বিশেষ করে পশ্চিমা দেশগুলো মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই সংঘাত শুধুমাত্র আঞ্চলিক দেশগুলোর জন্য নয় বরং বিশ্বব্যাপী একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ব্রিটিশ সরকারের এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সঙ্কেত হিসেবে দেখা হচ্ছে। তারা আশা করছেন যে, সকল পক্ষ সংযম দেখিয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
এই পরিস্থিতি যে কতটা স্পর্শকাতর, তা ইউরোপীয় ইউনিয়নের আহ্বানে আরও একবার প্রমাণিত হলো। মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রতিষ্ঠায় সকল পক্ষের জন্য এখন সংযম এবং সহযোগিতা অপরিহার্য।