যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে। এই অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেমে ব্যবহৃত হবে এমন বিভিন্ন রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্র। বিশেষ করে, জিএমএলআরএস রকেট এবং এটাকামস মিসাইল, যা দূরবর্তী সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্স সিকিউরিটি কোঅপারেশন এজেন্সির মতে, এই অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী রাষ্ট্রগুলোর নিরাপত্তা বৃদ্ধি পাবে, যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার লক্ষ্য পূরণে সহায়ক হবে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই সহযোগিতা কেবল সামরিক দিক থেকেই নয়, বরং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি বেশ জটিল। বিশেষ করে ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা, যুদ্ধে টানা অসামরিক ক্ষতির শঙ্কা এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কার্যকলাপ সামলানোর ক্ষেত্রে এই অস্ত্র বিক্রি আমিরাতের সামরিক বাহিনীকে আধুনিকায়নে সাহায্য করবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার দীর্ঘদিন ধরে তাদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে, এবং যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এই অস্ত্র ক্রয় সেই উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পাওয়ার পর এই অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব কংগ্রেসের সম্মতির জন্যও উপস্থাপন করা হবে। কংগ্রেস যদি এই প্রস্তাবে সম্মতি দেয় তবে তা নিশ্চিত করবে যে আমিরাতের সামরিক বাহিনী প্রয়োজনীয় আধুনিক অস্ত্র ও প্রযুক্তিতে সজ্জিত হবে।
এই বিক্রির ফলে যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে। অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে, যা মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়ক হবে। মার্কিন প্রশাসন এই অস্ত্র বিক্রির মাধ্যমে শুধু তার আঞ্চলিক সহযোগীদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করছে না, বরং একটি শক্তিশালী সামরিক সহযোগিতার সূচনা করছে, যা ভবিষ্যতে আরো উন্নত হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্র বিক্রির ফলে আমিরাতের সামরিক বাহিনী সক্ষমতা অর্জনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবে নিজেদের প্রভাবও বাড়াতে পারবে। ফলে, এই বিক্রির ফলে শুধুমাত্র সামরিক সম্পর্ক নয় বরং রাজনৈতিক সম্পর্কও নতুন মাত্রা পাবে, যা আগামী দিনে আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে।